ওমিক্রন নিয়ে সঠিক তথ্য নেই হুর কাছেও!

ইবাংলা ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজুড়ে জোর আলোচনা চলছে । সতর্কতা মুলক ব্যবস্থাও নিচ্ছে অনেক দেশ। কিন্তু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ঠিক কতটা সংক্রামক এবং এটি আরও গুরুতর কোনো রোগের কারণ হতে পারে কি না, সে বিষয়ে কোথাও যেন পরিষ্কার বা স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা নেই কারোই। তথ্য নেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছেও।

রোববার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সহজেই ওমিক্রন ভ্য়ারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ আরও গুরুতর আকার ধারণ করে কি না, সেটিও এখনও জানা যায়নি।

ডব্লিউএইচও’র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বর্তমানে এমন কোনো তথ্য নেই, যা ওমিক্রনের উপসর্গকে বাকি ভ্য়ারিয়েন্ট থেকে আলাদা করে। প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে যারা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের ফের ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রেও যতটা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেটিও অত্যন্ত সীমিত।

গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপরই তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বতসোয়ানা, বেলজিয়াম, হংকং ও ইসরায়েল, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্কেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

একজন বিশেষজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করোনার বি.১.১.৫২৯ নামক এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি করোনার এই ধরন মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকেও আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রিক বর্ণমালার ১৫ নম্বর অক্ষর অনুযায়ী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘ওমিক্রন’ নাম দিয়েছে।

গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনার নতুন প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। সংস্থাটি বলেছে, করোনার নতুন ধরনটির স্পাইক প্রোটিনে ৩২ বার রূপ বদল ঘটেছে। সাধারণত ভাইরাসের এ ধরনের বারবার রূপ বদল সেটিকে আরও বেশি সংক্রামক এবং বিপজ্জনক করে তোলে।

ইবাংলা/টিপি/২৯ নভেম্বর২০২১

Contact Us