বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবনের খেতাব সংযুক্ত আরব আমিরাতের বুর্জ খলিফার। আর দ্বিতীয়টি মালয়েশিয়ার মারদেকা ১১৮ টাওয়ার। ৬৭৮.৯ মিটার উঁচু এই টাওয়ারের স্পায়ারের কাজ শেষ হওয়ায় এটি এখন বুর্জ খলিফার পরে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা।
করোনা মহামারির মধ্যে টাওয়ার স্পায়ারের সমাপ্তিতে গর্বিত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি তার গর্বের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘মারদেকা ১১৮ হবে মালয়েশিয়ার প্রথম টাওয়ার যেটি উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (লিড) ও আন্তর্জাতিক টেকসই প্রশংসাপত্রসহ ট্রিপল প্লাটিনাম রেটিং অর্জন করেছে।’ স্পায়ার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি শুধু প্রকৌশল ক্ষেত্রেই একটি বড় অর্জন নয়, একটি আধুনিক ও উন্নত দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। প্রকল্পটি তৈরি করছে পারমোডালান ন্যাশনাল বিএইচডির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাওয়ারটি তিন মিলিয়ন বর্গফুট ফ্লোর এলাকা জুড়ে গ্রেড-এ অফিস স্পেসের ১.৬৬ মিলিয়ন বর্গফুট নেট লেটেবল এরিয়া (এনএলএ) এবং প্রায় এক মিলিয়ন বর্গফুট জায়গা নিয়ে গঠিত।
আরও পড়ুন : জ্বালানি খরচ বাঁচাতে ঘোড়া কিনলেন যুবক
এ ছাড়া টাওয়ারটিতে বেশ কয়েকটি অসামান্য বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘দ্য ভিউ অ্যাট ১১৮’ অবজারভেশন ডেক, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সর্বোচ্চ হবে, সেই সঙ্গে টাওয়ারের পডিয়ামের মধ্যে কাচের গম্বুজযুক্ত ১১৮ মল।
ভবনটির অন্যান্য উপাদানের মধ্যে রয়েছে মারদেকা টেক্সটাইল মিউজিয়াম, যেখানে মালয়-বিশ্বের টেক্সটাইল প্রদর্শন করা হয়েছে; লিটল এম, সাত বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য একটি শিশু যত্নকেন্দ্র এবং একটি মসজিদ যেখানে তিন হাজার মানুষ জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। টাওয়ারটি দুটি জাতীয় ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ককে উপেক্ষা করে- স্টেডিয়াম মেরডেকা ও স্টেডিয়াম নেগারা।
ইবাংলা/এএমখান/০১ ডিসেম্বর, ২০২১