আফগানিস্তানে গভীর সংকটে হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যাদের অনেকেই এখন বিনা বেতনে কাজ করছেন।তাদের মধ্যে আফগানিস্তানের একটি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ নুরি (ছদ্মনাম) বলছিলেন, নিজেকে ও নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতে চিকিৎসকের কাছে অনুরোধ জানান এক মা। এই মা আফগানিস্তানের। চরম অপুষ্টির শিকার তিনি। তার বুকে সন্তানকে খাওয়ানোর মতো দুধ নেই। তাই সন্তান তিলে তিলে মারা যাক, এটা তিনি চাননি। এজন্য সন্তানসহ নিজেকেও একবারে মেরে ফেল বললেন এই মা।
এই মা বলছিলেন, ‘আমি জানি না আমি কিভাবে বেঁচে থাকতে পারি। তাহলে কীভাবে আমি অন্য একজন মানুষের জন্ম দিতে পারি?’ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুর্বল ওই মায়ের সন্তানের জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ডা. নুরি।
এই মায়ের মতো হাসপাতালটিতে আরও অনেক মা রয়েছেন। ডা. নুরির ওয়ার্ডের নারীরা এতই অপুষ্টিতে ভুগছেন যে, তারা জানেন যে তাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য তাদের যথেষ্ট বুকের দুধ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ডা. নুরি বলেন, বিনা বেতনে কাজ করায় বিরক্ত হয়ে বেশিরভাগ পরিচ্ছন্নতাকর্মী কয়েক মাস আগে তার হাসপাতাল ছেড়েছিলেন। এবং প্রসূতি ওয়ার্ডটিতে এতই ভিড় যে কখনো কখনো এক বিছানায় একাধিক নারীকে রাখতে হচ্ছে। আশপাশের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে আগের সময়ের তুলনায় রোগী এখন তিনগুণ বেশি। সূত্র: বিবিসি
ইবাংলা / নাঈম/ ৩ ডিসেম্বর, ২০২১