শেরপুরে এক গৃহবধূকে যৌতুক না পেয়ে হাতের কবজি কেটে ফেলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই গৃহবধূর স্বামীসহ চার সহোদরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আখতারুজ্জামান জনাকীর্ণ আদালতে সকল আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ খবর নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু।
রায়ে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনে গুরুতর জখমের দায়ে গৃহবধূর স্বামী লিটন মিয়াকে (২৮) ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ভিকটিমকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই নারীকে নির্যাতনে সহায়তা ও আঘাতের দায়ে লিটন মিয়ার সহোদর তিন ভাই রিপন মিয়া (৩৮), উজ্জল মিয়া (৪৫) ও নুর ইসলামকে (৫০) তিন বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আদেশ দেওয়া হয়।
আদেশ অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণের টাকা ভিকটিম ও তার শিশু সন্তান লুৎফা (৩) পাবে। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় লিটন মিয়ার আত্মীয় শফিকুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
ইবাংলা /টিআর /৫ ডিসেম্বর ২০২১