এক গাছেই ৬০ মৌচাক !
জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শতবর্ষী এক পাকুড় গাছে বাসা বেঁধেছে এক ঝাক মৌমাছির দল। তবে একটি দুটি নয়, এক গাছেই অন্তত ৬০টি মৌমাছির চাক বেঁধেছে । একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক অবাক করেছে এলাকাবাসীকে। শুধু এলাকাবাসীই নয় একসঙ্গে এত মৌচাক দেখতে প্রতিদিনই পাকুড়তলায় ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের মেঘেরচর মাঝিপাড়া গ্রামে গেলে দেখা মিলবে এ গাছের। নিভৃতপল্লীর সরকারি খাস জায়গার দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী পাকুড় গাছটি। গাছের নিচেই রয়েছে ছোট্ট একটি মন্দির। পাকুড় গাছের গোড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডালে নির্বিঘ্নে বাস করছে মৌমাছির দল। মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় একবার হলেও পাকুড় তলায় থমকে দাঁড়াচ্ছেন লোকজন। সম্প্রতি স্থানীয় লোকজন ২০টি চাক থেকে তিন মণ মধু বিক্রি করেছেন। সেই মধু বিক্রির টাকায় কেনা হয়েছে মন্দিরের জন্য ইট।
মেঘেরচর গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, এক মাস হলো মৌচাকগুলো বসেছে। ৮০-৯০টি চাক ছিল। মধু সংগ্রহের কারণে কিছু মৌমাছি উড়ে গেছে। তবে এখনও ৬০টির মতো মৌচাক রয়েছে। তবে এত মৌচাক এর আগে এই গাছে কখনই লাগেনি।
গাইবান্ধা বিসিক শিল্প নগরীর সহকারী মহাব্যাবস্থাপক রবিন চন্দ্র রায় মুঠোফোনে জানান, মৌমাছিরা সংঘবদ্ধভাবে এক জায়গায় থাকতে ভালোবাসে। এদের বিরক্ত না করলে বহু দিন পর্যন্ত এক জায়গায় অবস্থান করে। এক দিকে গ্রামাঞ্চল অন্যদিকে ওই এলাকায় প্রচুর সরিষার আবাদ হয়। ফলে মৌমাছিরা সহজেই মধু সংগ্রহ করতে পারে। এজন্য মৌমাছিগুলো প্রাচীন এ পাকুড় গাছটিতে বাসা বেঁধেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইবাংলা/ টিপি /২২ ডিসেম্বর, ২০২১