মানিকগঞ্জে সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌয়ালীরা। হলুদে হলুদে ছেয়ে গেছে সরিষা ফুলের মাঠ। আর এ কারণেই সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনাসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে মধু সংগ্রহ করতে শতাধিক মৌয়ালী মানিকগঞ্জে এসেছেন। তারা জেলার সর্বত্রই সরিষা ক্ষেতের আইলে মৌবক্স বসিয়ে সংগ্রহ করছেন মধু।
মৌ চাষিরা জানান, ডিসেম্বর থকে শুর হওয়া মধু সংগ্রহের এই কাজ চলবে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। প্রতিটি খামারে মৌমাছির বক্স রয়েছে শতাধিক। প্রতি বক্সে মৌমাছি রয়েছে কয়েক হাজার। সারাদিন মৌমাছিরা বক্স থকে বেড়িয়ে পুরো সরিষা ক্ষেতের ফুল থেকে মধু আহরণ করে বক্সে ফিরে আসে। সাতক্ষীরা থেকে আসা মৌচাষি সেলিম রেজা জানান, তারা সপ্তাহে একবার বক্স থেকে মধু সংগ্রহ করেন। প্রতি বক্স থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি মধু পাওয়া যায়। এভাবে শতাধিক বক্স থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০ থেেক ১২ মন মধু সংগ্রহ হয়।
তিনি আরোও বলেন, করোনার পাদুর্ভাবে মধুর চাহিদা বেড়েছে। এখনো চাহিদা অব্যাহত আছে। এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় মধু সংগ্রহ হচ্ছে বেশী। তবে কয়েকদিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় সরিষার আবাদ একটু খারাপ হয়েছে, তাতে আমাদের সমস্যা হয়নি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রতি কেজি মধু বিক্রয় করছেন ৪০০ টাকায়। মধুর চাহিদা থাকায় খামারে এসে ক্রেতারা মধু ক্রয় করছেন। মানে খাঁটি এবং দামে কছিুটা কম পাওয়ায় ক্রেতারাও খুশি। এছাড়া বিভিন্ন হারবাল কোম্পানী পাইকারী দরে মধু ক্রয় করে থাকেন। তিনি আরোও বলেন পৃথিবীতে প্রায় দুইশত প্রজাতির মৌমাছি রয়েছে তবে মাত্র চারপ্রজাতির মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে।
সেলিম রেজার খামার থেকে অনেকেই মধু সংগ্রহের কাজ শিখে নতুন খামার দিচ্ছেন। এতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে। খামারে কাজ করতে আসা সাহেদ পারভেজ ও শেখ ইমামুল হোসেন বলেন এখান থেকে কাজ আয়ত্বে নিয়ে নিজে খামার করবো। সাহেদ পারভেজ বলেন, আমি এখান থেকে কাজ শিখে ছোট আকারে খামার শুরু করেছি। পরে বড় পরিসরে খামার করবো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় সরিষার কিছু ক্ষতি হয়েছে। এই সরিষাকে কেন্দ্র করে শতাধিক মৌ চাষি মধু সংগ্রহ করছে। এ বছরও মধু সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে আসা করা হচ্ছে।
ইবাংলা / নাঈম/ ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১