চাঁদা না পেয়ে কক্সবাজারে দলবদ্ধ ধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কক্সবাজারে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ করা ওই নারীর সঙ্গে ঘটনার কয়েক দিন আগে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামের দেখা হয় বলে জানায় র্যাব। আশিক ও তার সঙ্গীরা ওই নারীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এর জের ধরে ২২ ডিসেম্বর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত আট মাসের শিশুর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাতে স্বামী-সন্তানসহ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যান ওই নারী।
পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ জোগানোর বিষয়টি জেনে তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন গ্রেফতার আশিক ও তাঁর সহযোগীরা। এ অর্থ না দেওয়ায় ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। ২২ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
র্যাব বলছে, চাঁদার টাকা না পেয়ে ওই নারীকে সুগন্ধা সৈকত থেকে জিম্মি করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেওয়া হয় একটি চায়ের দোকানে। সেখান থেকে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নিয়ে সৈকত এলাকার আশিকসহ অপরাধী চক্রের সদস্যরা ধর্ষণ করেন।
কক্সবাজারে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি আশিককে মাদারীপুর থেকে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেফতার করা হয় বলে র্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, ওই নারী আশিকের পূর্বপরিচিত ছিলেন না। ঘটনার এক দিন আগে সৈকতে তাঁদের পরিচয় হয়। সন্তানের চিকিৎসার জন্য পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে আশিকদের নজরে পড়েন ওই নারী।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, নারীকে অপহরণের পর তাঁর স্বামী র্যাব–১৫–এর কাছে উদ্ধারে সহায়তা চান। র্যাব তাঁর স্বামীকে নিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে ২৩ ডিসেম্বর রাতে জিম্মি করার সহযোগিতার অভিযোগে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৮ ও ১৫–এর অভিযানে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়।
ইবাংলা /টিআর/ ২৭ ডিসেম্বর