পর্যটন নগরী কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। অথচ দেশের জনগণের দুর্ভাগ্য এ সৈকত বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে না বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণী মহল। বিদেশি পর্যটক তো দূরের কথা, প্রশাসন দেশীয় পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে বার বার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
কক্সবাজারের প্রশাসনের অসাধু কর্ম কর্তারা নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সরকারি কর্মকর্তারা অবৈধ পন্থায় অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যে বেহুশ থাকেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদকের ছড়াছড়ি। পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে ইয়াবা নগরী বললেও ভুল হবে না। কেন না, প্রশাসন ইয়াবা পাচার রোধে সক্রিয় হলে, সমগ্র দেশে মরণনেশা ইয়াবা ছড়িয়ে পড়তো না।
সীমাহীন অরাজকতার মধ্যে কক্সবাজার শহর। প্রশাসনের নাকের ডগায় যুগের পর যুগ ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল নোংরা অপরিস্কার ড্রেন, নালা নর্দমা।ময়লা আবর্জনার স্তুপ। নানা অনিয়ম তো আছেই। সম্প্রতি শহরের গোল দিঘি, লাল দিঘি দৃষ্টিনন্দিত হয়েছে। বর্তমান সরকার তথা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( ক.উ.ক) ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছে।
অপরাধীকে, অসাধু মাথাভারী প্রশাসন ব্যাপক লুটপাট চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে কারো কোনোই সমন্বয় না থাকায় অভাবে অসাধু দুর্নীতিবাজরা লুটে নিচ্ছে সরকারি অর্থাৎ জনগণের টাকা।
বর্তমান সরকার কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী গড়ে তোলার চেষ্টা থাকলেও, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা আর কতিপয় অসাধু রাজনৈতিক ব্যক্তি।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী-শিশু নিরাপত্তা জোন উদ্ভোধনের ১০ ঘণ্টার মধ্যেই আবার তা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন।
প্রশ্ন রয়েছে, সৈকতে কোনো কাজ করা, উদ্ভোধন করা বা প্রত্যাহার করার এখতিয়ার জেলা প্রশাসকের এককভাবে আছে কিনা? এই বিতর্কিত কাজে, পর্যটন করপোরেশন/ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো ছাড়পত্র ছিল কিনা? সৈকতে নারী শিশু নিরাপত্তা জোন, হাস্যকর হলেও এটা করা হয়েছিলো সরকারি টাকা লুটে নেয়ার একটা কৌশল।
এ প্রসঙ্গে বৃহপ্ততিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায়, আমার মুঠোফোনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, লে.কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ সাহেবের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এ কাজে কক্সবাজারে প্রশাসন অথবা অন্য কোনো সংস্থা ক.উ.ক থেকে কোনো ছাড়পত্র নেননি। তারা হয়তো বা ছাড়পত্র নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। উল্লেখ্য পর্যটনের শিল্পের উপর কাজ করতে গিয়ে আমাকে মাসের-পর-মাস সৈকতে থাকতে হয়েছে।
ইবাংলা/ এইচ/ ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১