সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বলেন, মুরাদ আমাকে নির্যাতন করছে। আমাকে মেরে ফেলবে বলেছে। প্লিজ আমাকে বাঁচান। বৃহস্পতিবার(৬ জানুয়ারি) বিকেলে এভাবেই জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে জীবন বাঁচানোর আকুতি জানান সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। এরপর সন্ধ্যায় থানায় আসেন মুরাদের স্ত্রী জাহানারা। অভিযোগের বিষয়ে ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলামকে জানান। পারিবারিক কলহের বিষয়গুলো তিনি অবগত করেন।
পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বিকেলে ৯৯৯ এ ফোন করেন মুরাদের স্ত্রী। ফোন ধরেন একজন কনস্টেবল সমমর্যাদার অপারেটর। মুরাদের স্ত্রী তাকে বলেন, ‘আমি ডা. জাহানারা। ধানমন্ডি থেকে বলছি। আমার স্বামী ডা. মুরাদ।’
এপাশ থেকে ‘আপনাকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারি’ জানতে চাইলে মুরাদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কয়েকদিন ধরেই আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। কথায় কথায় আমাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার আমি। আমাকে বাঁচান। ও বলেছে আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে ও আমার সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। আমার ওপর এখন হাত তুলতে চেয়েছিল। আমাকে আপনারা বাঁচান। আমাকে উদ্ধার করুন। প্লিজ পুলিশ পাঠান, এখনি পুলিশ পাঠান।’
৯৯৯ এর অপারেটর তখন মুরাদের স্ত্রীর কাছে তার বাসার ঠিকানা চান। তখন ঠিকানা দিলে ৯৯৯ থেকে ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসারকে ফোন করা হয়। ডিউটি অফিসার তখন মুরাদের ধানমন্ডি ২৮ (পুরাতন) নম্বরের বাসায় পুলিশ পাঠায়।
এ ফোন কলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘দুপুরে একজন নারী রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ফোন দেন। ফোন দিয়ে বলেন, তার স্বামী একজন ডাক্তার এবং এমপি। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ের জের ধরে তার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়েছে। এই পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী তাকে মারধর করেছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। তিনি এখন নিজেকে অনিরাপদ বোধ করছেন, তাই পুলিশি সহায়তা চেয়েছেন। এরপরই ৯৯৯ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই ভিকটিম নারীকে ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসারের ফোনের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়।’
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের স্ত্রী দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে আইনি সহায়তা চান। তার এই আইনি সহায়তা চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে আমাদের একটি টিম তার বাসায় যায়। বাসায় আমরা তেমন কিছু দেখিনি। পরে তিনি থানায় আসেন, তার অভিযোগের বিষয়ে আমরা জানার চেষ্টা করেছি। পারিবারিক কলহের বিষয়গুলো তিনি আমাদের জানান।
ইবাংলা / নাঈম/ ০৬ জানুয়ারি, ২০২২