রূপগঞ্জের অগ্নিকান্ডে নিহত ৫০, আনসার-পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতায় হাশেম অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ভবনের কাছে সড়কে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ ১০ থেকে ১২টি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে আনসারদের প্রশিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ নাছিমা বেগম বলেন, ‘সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হাসেম ফুডের আনসার ক্যাম্পে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
শুক্রবার (৯ জুলাই), বেলা ১টার দিকে কারখানা ভবন থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এ তথ্য জানায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিমের এক সদস্যের মাধ্যমে জানা যায়, ভবনটির ৪ তলাতেই ৪৯ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ৫ ও ৬ তলায় এখনো আগুন জ্বলছে।
ভবনটির চারপাশ বন্ধ। শুধু সিঁড়ি দিয়ে ওঠার পথ রয়েছে। যেখানে প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে বাইরে ল্যাডার দিয়েই আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। আর কারখানায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হচ্ছে।
এর আগে, শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে সেজান জুসের কারখানাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো আবারো আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট।
তার আগে, শুক্রবার সকালে, পুলিশ ও নিখোঁজ শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টার দিকে কয়েকজন শ্রমিকের খোঁজ না পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তাদের স্বজনেরা। পুলিশের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। এসময় ব্যাপক ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে আগুন লাগলে ১৩ ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৪টার দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট। আগুন লাগার সময় কারখানাটিতে অনেক শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করছিলেন।
তবে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনি। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও কারখানার একজন ইঞ্জিনিয়ার জানান, হঠাৎ করে তারা ধোঁয়া দেখতে পান। নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা দাবি করেন, আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বের হতে দেয়নি।
ই-বাংলা/ আইএফ/ ৯ জুলাই, ২০২১