মঙ্গলে ধুলিঝড়ে বিপাকে রোবটিক ল্যান্ডার ‘ইনসাইট’

ইবাংলা ডেস্ক

মঙ্গলের বুকে আঞ্চলিক ধুলিঝড়ে বিপাকে পড়েছে সৌরশক্তি নির্ভর রোবটিক ল্যান্ডার ‘ইনসাইট’। মঙ্গলের যে অঞ্চলে এটি অবস্থান করছে সেখানে ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ধূলিঝড়। ধুলিঝড়ের প্রকোপে সূর্যের আলো পাচ্ছিল না ল্যান্ডারটি, এতে ‘সেইফ মোড’-এ যেতে বাধ্য হয়েছে ‘ইনসাইট’, ফলে যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায় নাসার সঙ্গে।

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) জানিয়েছে, ১০ জানুয়ারি ইনসাইটের সঙ্গে আবারো যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে মিশন টিম। এখনো স্থিতীশীল আছে ইনসাইটের বিদ্যুৎ সরবরাহ; ক্ষমতা কমে এলেও ব্যাটারি সম্পূর্ণ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই এখনো।

এর আগেও মঙ্গলের ধুলিঝড়ে বিপদে পড়েছে নাসার রোভার ও ল্যান্ডার রোবটগুলো। ২০১৮ সালে পুরো মঙ্গল জুড়ে চলা ধূলিঝড়ে থমকে গিয়েছিল নাসার ‘অপরচুনিটি’ রোভারের অভিযান। ধূলিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ইনসাইটের সোলার প্যানেলও। তবে পৃথিবীতে বসেই নাসার বিজ্ঞানীরা সোলার প্যানেল থেকে ধূলা পরিষ্কারের অভিনব পন্থা আবিষ্কার করায় এখনো কাজ চালিয়ে যেতে পারছে ইনসাইট।

এদিকে চলতি ধূলিঝড়ের ফলে ইনসাইটের সোলার প্যানেলে আরো ধূলিকণা জমে বিপত্তি বাঁধতে পারে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট। আবার উল্টোটাও হতে পারে বলে জানিয়েছে সাইটটি, ইনসাইটের জন্য ‘শাপে বর’ হয়ে দাঁড়াতে পারে চলমান ঝড়টি।

এই প্রসঙ্গে নাসা বলছে, স্পিরিট এবং অপরচুনিটি রোভারের বেলায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সোলার প্যানেলের উপর থেকে জমা ধুলা পরিষ্কারে সহযোগিতা করেছে ঘূর্ণিঝড় আর দমকা হাওয়া। ইনসাইটের আবহাওয়াবিষয়ক সেন্সরগুলো অনেকবার দমকা হাওয়া চিহ্নিত করলেও এর কোনোটাই সোলার প্যানেল থেকে ধূলা পরিষ্কার করেনি এখনো।

মুলত মঙ্গলের ভূবিজ্ঞান আর ভূপৃষ্ঠের নিচে কী হচ্ছে সেই বিষয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে ‘ইনসাইট’ ল্যান্ডার। ধূলিঝড়ের প্রকোপ কমে আসায় জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ল্যান্ডার রোবটটিকে পুরোদুস্তুর কাজে ফিরিয়ে আনার আশা করছে নাসার জেপিএল।

ইবাংলা /  টিপি/ ১৫ জানুয়ারি

Contact Us