নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পৌর মেয়র বিরুদ্ধে সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জমা দিয়েছেন ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী। কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এলাকার পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছে কোম্পানীগঞ্জের আটজন চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারীরা হচ্ছেন সিরাজপুর ইউনিয়নের মাঈন উদ্দিন মামুন (আনারস), চরপার্বতী ইউনিয়নের মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু (আনারস), চরহাজারী ইউনিয়নের নুরুজ্জামান স্বপন (অটোরিকশা), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের হানিফ সবুজ (চশমা), চরফকিরা ইউনিয়নের জায়দল হক কচি (আনারস), রামপুর ইউনিয়নের সিরাজিস সালেকিন রিমন (আনারস), মুছাপুরের নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরী (মোটরসাইকেল) ও চরএলাহীর আবদুর রাজ্জাক (আনারস)।
তারা সবাই মেয়র কাদের মির্জার বিরোধী উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী। এরমধ্যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের তিন ভাগনেও রয়েছেন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ওই নির্বাচনে তাদের সঙ্গে কাদের মির্জার অনুসারী আটজন প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত আটজন প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা দেখে কাদের মির্জা তার অনুসারী প্রার্থীদের পক্ষে কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছেন। বিষয়টি আমাদের প্রার্থীরা একযোগে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার কাছে কিছু অভিযোগপত্র এসেছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তারা সবাই আইন অমান্য করছেন। তাদের বাড়িতে প্রশাসনের লোকজন নৈশভোজ করেন। এভাবে একপাক্ষিক কিছু মানুষ মেনে নেবে না।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোম্পানীগঞ্জের আটটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন, সংরক্ষিত নারী মেম্বার পদে ৮৬ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩২৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইবাংলা/ টিপি/ ২৭ জানুয়ারি,২০২২