চলমান শৈত্যপ্রবাহটি অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে সামান্য বাড়তে পারে। এছাড়া কিছু কিছু স্থান থেকে শৈত্যপ্রবাহটি প্রশমিত হতে পারে। রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকাল দিনাজপুরে ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা তোফাজ্জাল হোসেন জানান, সকালে বাতাসের আদ্রতা রেকর্ড হয়েছে ৯০ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩-৪ কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে গতিবেগ ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া রংপুরে ৯.৫, সৈয়দপুরে ৮.২, রাজারহাটে ৭.৫, ডিমলায় ৮.৯, নওগাঁয় ৮.৫, চুয়াডাঙ্গায় ৮.৬, রাজশাহীতে ৮.৬, শ্রীমঙ্গলে ৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এর আগে শনিবার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছিল, আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ কেটে যেতে পারে। একই সঙ্গে ফেব্রুয়ারির শুরুতে অর্থাৎ মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহে বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে।
এছাড়া দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলজুড়েই এখন বইছে শৈত্যপ্রবাহ। তবে আপাতত আর শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি ও শৈত্যপ্রবাহ নতুন করে হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান আবহাওয়াবিদরা। শুক্রবার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়।
শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ফেনী, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং বরিশাল জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। নতুন নতুন অঞ্চলে বিস্তৃত হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
ইবাংলা /নাঈম/ ৩০ জানুয়ারি, ২০২২