করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ হাজার ৪৬০ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ২১ লাখ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৭ লাখ ৮১ হাজার ২২১ জনে।
এবং আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় প্রায় ৪ লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটি ২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ৭২৪ জন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৭ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৬৯৭ জন। গত একদিনে ব্রাজিলে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ১৭৪ জন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৩০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯ হাজার ৪৪১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৬৯৮ জন। একই সময়ে স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৩১ জন এবং মারা গেছেন ৩৬১ জন।
এ ছাড়া গত একদিনে যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ১৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৩১৪ জন। তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৯৬ জন এবং মারা গেছেন ২৪১ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকায় ২৬৮ জন, কানাডায় ১০৯ জন, আর্জেন্টিনায় ২৮৪ জন, গ্রিসে ১০৮ জন, হাঙ্গেরিতে ৯৪, পোল্যান্ডে ২৮৬ জন, ইরানে ১১৪ জন, জাপানে ১২২ জন এবং ভিয়েতনামে ৯৭ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২০৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
ইবাংলা/ টিপি/ ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২