প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস। জুমার নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ নামাজ ছেড়ে দিলে হাদিসে ভয়াবহ ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি মুসলিমকে অবশ্যই জুমার নামাজ গুরুত্বসহ পড়া উচিত। জুমার নামাজের খুতবার সময় সালাত আদায় করা জায়েজ। নারীদের জন্য জুমার সালাত শেষ হওয়ার অপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই, যেহেতু জুমার সালাত তাদের ওপর ওয়াজিব নয়। সুতরাং তারা জুমার সালাতের জন্য অপেক্ষা করবেন না, বরং যখনই আজান হবে, অর্থাৎ ওয়াক্ত হয়ে যাবে, তখনই জোহরের সালাত আদায় করে নেবেন, যদি তারা জুমায় অংশগ্রহণ না করেন।
তবে নারীরা জুমাতে অংশগ্রহণ করলে তারা জুমার সালাতের জন্য অপেক্ষা করবেন এবং ইমামের সঙ্গে জুমার সালাত আদায় করবেন। দুটাই নারীদের জন্য জায়েজ। নারীদের জুমাতে অংশগ্রহণ করার বিষয়েও আল্লাহর নবীর (সা.) নির্দেশনা রয়েছে এবং অংশগ্রহণ করতেও তিনি বাধা দেননি বা নিষেধ করেননি। যদি জুমাতে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তাদের পক্ষ থেকে জোহরের সালাত আদায় করা হয়ে যাবে, তাদের আর ভিন্নভাবে জোহর আদায় করতে হবে না।
কিন্তু যদি তারা জুমার সালাতে অংশগ্রহণ না করেন, তাহলে জোহরের সালাত আদায় করতে পারেন। এর জন্য শর্ত নয় যে ইমাম সাহেব মসজিদে সালাত আদায় শেষ করবে অথবা খুতবা অথবা সালাত দুটোই শেষ করবে, তার পরে নারীরা ঘরে সালাত আদায় করবেন। বিষয়টি হলো যখনই ওয়াক্ত হয়ে যাবে, তখনই জোহরের সালাত আদায় করতে পারবেন নারীরা। এটি তাদের জন্য জায়েজ রয়েছে।
ইবাংলা/ নাঈম/ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২