প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দেওয়ায় চিরকুট লেখে বরগুনার তালতলীতে আত্মহত্যা করেছেন কলেজ শিক্ষার্থী রুমা আক্তার (১৬)। ঘটনার পর থেকে তার প্রেমিক কাইউম (২৭) পলাতক রয়েছে।
শনিবার (১২ ফেব্রয়ারি) বেলা ১টার দিকে উপজেলার শিকারীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যু রুমা তালতলী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ও শিকারীপাড়া এলাকার আলাউদ্দিন মোল্লার মেয়ে। প্রেমিক কাইউম (২৭) বরিশালের একটি কলেজে পড়াশোনা করেন ও ঐ এলাকার হাফিজুর হাওলাদারের ছেলে।
মৃত্যুর আগে লেখা সুইসাইড নোটে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করে, আমার মুত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়। বাবা ও মা তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি কাইউমকে ভালোবাসি, আমাদের প্রেম খাটি ছিলো। শুধু একদিন বাজার থেকে গাড়িতে করে বাড়িতে যাওয়ার সময় আমি কাইউমের হাত ধরেছি। এছাড়া আমাদের ভিতরে আর কোনো সর্ম্পক হয়নি। ভালো থেকো বাবা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতি দিন তালতলী থেকে কোচিং করে সকাল ১০টায় বাড়িতে যায়। এরপর বাবা আলাউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে সকালের খাবার শেষ করেন। পরে বাবা ও মা পারিবারিক কাজে মাঠে ধান শুকাতে যায়। এর কিছুক্ষন পর বাবা ও মা বাসায় আসেন। এসে বাসার দরজা ভিতর থেকে দেওয়া দেখে মেয়েকে ডাকাডাকি করেন কিন্তু কোথাও মেয়ের সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে উঠে। পরে ঘরের উপরে (মাচা) গিয়ে দেখতে পায় মেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন। পরে স্থানীয়দের খবর দিলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন।
স্থাণীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, রুমা ও কাইউমের প্রেমের বিষয়ে দুই পরিবার মেনে নেয়নি। রুমাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র পক্ষ রুমাদের বাড়িতে আসার কথা ছিলো আজকের এ জন্য আত্মহত্যা করেছেন রুমা।
আলাউদ্দিন মোল্লার বলেন, আমার মেয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টার ভিতরে যে কোনো সময় প্রথমে বিষ পান করেন। পরে গলায় ওড়না পেছিয়ে আড়ার সাথে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ রির্পোট আসলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার স্থান থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছি।
ইবাংলা/ এইচ/ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২