ভারতের অভ্যন্তরে ওভারলোডিং বন্ধসহ নানা জটিলতায় চার দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চিপস পাথরের আমদানি বন্ধ রয়েছে। ১৪দিন বন্ধের পর পুনরায় আমদানি শুরুর ফলে পাথরের দাম কমতে শুরু করেছিল। তবে আবারও তা বন্ধ হওয়ায় দাম বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে পাথর না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পাথর কিনতে আসা ব্যবসায়ীসহ আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরে আসা পাথর ক্রেতারা বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান ফোরলেন সড়কে পাথর সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। কিন্তু গতমাস থেকে জটিলতা তৈরি হওয়ায় পৌনে চার হাজার টাকা টন পাথর এখন ৫ হাজার ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তারপরেও প্রকল্পে বাড়তি দামেই পাথর সরবরাহ করা হচ্ছিল। তবে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আমাদের দুর্ভোগ বাড়ছে।
পাথর আমদানিকারকরা বলেন, হিলি দিয়ে যত পাথর আমদানি হয় তা ট্রাকগুলোতে ওভারলোডিং পদ্ধতিতে আমদানি হয়। কিন্তু সম্প্রতি গতমাসে ভারত সরকার ওভারলোডিং বন্ধ করে দেয়। একইসঙ্গে ভারতের অভ্যন্তরে আরও কিছু জটিলতা সৃষ্টি হলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পাথর রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এতে করে ১৪দিন পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। দেশের বাজারে পাথরের সরবরাহ কমায় দাম বেড়ে যায়। পাথর না পাওয়ায় আমরা যে বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলাম সেখানে পাথর সরবরাহ করতে পারছি না। পরে আন্ডার লোডিং পদ্ধতিতে ট্রাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিপস পাথর রফতানি শুরু হলে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হিলি বন্দর দিয়ে পুনরায় পাথর আসা শুরু হয়। এতে করে দেশের বাজারে পাথরের সররবাহ বাড়ায় দাম কমা শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে বোল্ডার পাথরের আমদানি অব্যাহত থাকলেও ভারতের অভ্যন্তরে সমস্যার কারণে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ১৪ দিন চিপস পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুনরায় বন্দর দিয়ে চিপস পাথর আমদানি শুরু হয়। তবে ভারতে সমস্যার কারণে গত ৬ মার্চ থেকে পুনরায় চিপস পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। গত চার দিন ধরে বন্দর দিয়ে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ী ও সরকার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইবাংলা/ এশো/ ৯ মার্চ, ২০২২