রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এসব পণ্য কিনবে সরকার। এরমধ্যে এক কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫২ লিটার সয়াবিন তেল, ১৪ হাজার টন চিনি, ১০ হাজার টন ছোলা এবং ১৯ হাজার ৫০০ টন মসুর ডাল ক্রয়ের চারটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯১ কোটি ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৬ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত চারটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে চারটি উপস্থাপনসহ) ১৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ দুই হাজার ৮১৬ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৫ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে এক হাজার ৭৮৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের ঋণ এক হাজার ৩১ কোটি ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৯২ টাকা।
সভা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে উপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, জিনিসের দাম যাতে সহনীয় থাকে, সে জন্য আজকে যেসব আইটেমের ওপর ভ্যাট ছিল সেগুলো তুলে নিয়েছি। সরকার থেকে যে পরিমাণ সহযোগিতা করা দরকার সেটা করা হচ্ছে। ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলায় ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন যুদ্ধ যেটা হচ্ছে, সেটাও মূল্য বৃদ্ধির একটা কারণ। এলসি প্রাইস, পরিবহন খরচ- এগুলো বেড়ে যায়। যারা আমদানি করেন তারাও সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেন, সে কারণে আরও বেশি দাম বাড়ে।
ইবাংলা/ এশো/ ১০ মার্চ, ২০২২