রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান আলোচনার চতুর্থ দফায় দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতি ও সেনা প্রত্যাহার চেয়েছে ইউক্রেন। এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হলেও এবার ভার্চুয়ালী এ আলোচনা হচ্ছে। ইউক্রেন বলছে, আলোচনা জটিল পর্যায়ে হলেও তা অব্যহত রয়েছে।
দুই পক্ষের মধ্যে চলতি এ আলোচনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল উপায়ে হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ও দেশটির পক্ষে আলোচনাকারী মিখাইলো পদোলিয়াক টুইটারে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
পদোলিয়াক বলেন, ‘দুই পক্ষই সুনির্দিষ্টভাবে তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছে। যোগাযোগ স্থাপিত হলেও এটা এখনও জটিল পর্যায়ে। দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এ মতানৈক্য।’ এর আগে এক টুইট বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এ উপদেষ্টা বলেন, আলোচনা চলাকালে দ্রুততর সময়ের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চাইবে ইউক্রেন।
পদোলিয়াক জানান, শান্তি, দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং সব রুশ সেনার প্রত্যাহার ইস্যুটি আলোচনায় উঠে আসতে পারে। বিভিন্ন তারিখে ধারাবাহিকভাবে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে চলবে এ আলোচনা। এর আগে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের প্রতিনিধিরা একাধিকবার সরাসরি আলোচনা করেছিলেন।
রুশ বার্তাসংস্থা তাস জানায়, সোমবার অনলাইনে যে দুই পক্ষের মধ্যে এ বৈঠক হবে, তা নিশ্চিত করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল প্রেস-সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ। তিনি জানান, শনিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মান চেন্সেলর ওলাফ শোলৎসের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের।
ফোনালাপে তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ধারাবাহিক বৈঠক হবে বলে তাদেরকে জানিয়েছেন। এর আগে বেলারুশে কয়েকটি বৈঠক করেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। এরপর তুরস্কে অনুষ্ঠিত হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। এসব বৈঠকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি দুই দেশ।
তবে মানবিক করিডোর চালুর মাধ্যমে বেসামরিক লোকজনকে ইউক্রেন থেকে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার সুযোগ করে দিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হয়।
ইবাংলা/ এশো/ ১৪ মার্চ, ২০২২