মধুপুরে সাংবাদিকদের মোবাইল ক্যামেরা চার দিনেও উদ্ধার হয়নি

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মধুপুর বনের গাছ চুরি খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গত বুধবার মধুপুরের দুই সাংবাদিক বন এলাকার একাধিক মামলার আসামী চিহ্নিত বনদস্যুদের হামলার শিকারের ঘটনা ঘটেছে। বনদস্যুরা সাংবাদিকদের কাছে থাকা একটি ডিজিটাল ক্যামেরা ও দুটি মোবাইল ছিনতাই করেছে।

এই ঘটনায় সাংবাদিক মহলে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। চার দিনেও উদ্ধার হয়নি মোবাইল ক্যামেরা। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত চিহ্নিত বন অপরাধীদের দ্রæত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী সাংবাদিকদের।

জানা যায়, টাঙ্গাইল বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জের হরিণধরা এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবত চিহ্নিত বনদস্যু একাধিক বন মামলার আসামীর একটি চক্র নির্বিচারে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করে যাচ্ছে। এ খবর পেয়ে আকবর হোসেন ও মেহেদী হাসান বকুল নামের মধুপুরের দুই গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ সংগ্রহের জন্য সরেজমিনে হরিণধরা এলাকায় গিয়ে সামাজিক বনায়নের চুরি হওয়া গাছের ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে।

হরিণধরা এলাকার সামাজিক বনায়নের অংশিদার রজব আলী (৭৬) এর প্লট থেকে ২০-৩০টি গাছ স্থানীয় একাধিক বন মামলার আসামী বনদস্যু একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে দুলাল, আলেমের ছেলে সেলিম, নৈয়ম উদ্দিনের ছেলে জলিল, সোহেল, হাছান, হোসেন গাছ চুরি করে।

শুধু রজব আলীই নয় আব্দুর রাজ্জাক, রহমত, মহিরসহ স্থানীয়দের সামাজিক বনায়নের প্লট থেকে ১৫-২০ জনের গাছ চুরের সিন্ডিকেট বনদস্যুরা প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতিনিয়ত গাছ চুরি করে ওই এলাকায় রাজত্ব কায়েম করেছে। চোরের এ সিন্ডিকেট গাছ চুরি করে অরণখোলা ইউনিয়নের ভুটিয়া গ্রামের একাধিক বন মামলার আসামী গাছ চোরের হোতা অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ি আব্দুল বাছেদ ওরফে বেøড বাছেদের নিকট বিক্রি করে।

এ তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে ফেরার পথে গতিরোধ করে দুলাল ও বেøড বাছেদ বাহিনীর নেতৃত্বে সেলিম, সোহেল, বেøড বাছেদ, হাছেন হোছেনসহ দশ পনের জনের গাছ চোর ও অবৈধ চোরাই কাঠ ব্যবসায়ীর একটি দল সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হেনস্তা করে ক্যামেরা, দুটি মোবাইল ও তথ্য সংগ্রহের নোটবুক ছিনিয়ে নেয়।

হামলাকারীর মূল হোতা ব্লেড বাছেদ বাহিনীর প্রধান ব্লেড বাছেদ সাংবাদিকদের শাসিয়ে দেয় ভবিষ্যতে এ এলাকায় কোন সাংবাদিক প্রবেশ করলে বের হয়ে যেতে দেয়া হবে না।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদ্বয় মধুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ দায়েরের চারদিন পার হলেও উদ্ধার হয়নি মোবাইল ও ক্যামেরা। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসব তথ্য অভিযোগ ও সাংবাদিকদ্বয়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে হামলার শিকার আকবর হোসেন ও মেহেদী হাসান বকুল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সামাজিক বনায়নের গাছ চুরির খবর পেয়ে হরিণধরা এলাকায় গিয়ে ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে ফেরার পথে দুলাল, সেলিম, ব্লেড বাছেদ গং বনদস্যুদের হামলার শিকার হন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ক্যামেরা, মোবাইল ও তথ্য সংগহ নোটবুক ছিনতাই করা হয়। এসআই হুমায়ুন কবির জানান, আমরা মোবাইল ও ক্যামেরা উদ্ধার ও হামলাকারীদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

ইবাংলা/ টিএইচকে/ ১০ এপ্রিল, ২০২২

Contact Us