বিশ্ব ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী লড়াই অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার অ্যাশেজ সিরিজ। ১৮৮২ সাল থেকে হয়ে আসছে অ্যাশেজের এই লড়াই। তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজও অ্যাশেজের মতোই গুরুত্বপুর্ন বলে মনে করেন অসিদের ডান-হাতি স্পিনার নাথান লায়ন।তার মতে, ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজও অসি ক্রিকেটারদের কাছে অ্যাশেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ। উপমহাদেশের মাটিতে জায়ান্টদের হারানো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন লায়ন।
১৯৪৭ সাল থেকে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজ শুরু হয়। তবে ১৯৯৬-৯৭ সাল থেকে এই সিরিজের নাম হয় বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডার ও ভারতের সুনীল গাভাস্কারের নামে সিরিজটি আয়োজন করা হয়।ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সব সিরিজই উত্তেজনায় ঠাসা। তবে সর্বশেষ তিন সিরিজই জিতেছে ভারত। তিনটিই ২-১ ব্যবধানে জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে সর্বশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে অ্যাশেজের সাথে তুলনা করে লায়ন বলেন, ‘এটা বিশাল। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের জন্য শীর্ষ সিরিজ হিসেবে, এটি অনেকটা অ্যাশেজ সিরিজের মতোই।’আগামী সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৭ সালে সর্বশেষ ভারত সফরে টেস্ট সিরিজ খেলেছিলো অসিরা। সামনের ঐ সিরিজটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায়, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন লায়ন। তিনি বলেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায়, সিরিজটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। আসল বিষয় হলো, নিজেদেরকে খুব বেশি এগিয়ে না রেখে চ্যালেঞ্জ উপভোগ করা। আমি মনে করি, বড় একটি সিরিজ হতে যাচ্ছে।’
২৪ বছর পর গত মাসে পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে গিয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে অস্ট্রেলিয়া। এ সিরিজ নিয়ে লায়ন বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, ১৫ দিনের জন্য কঠিন ক্রিকেট হতে চলেছে এবং আমরা সবার নজরে ছিলাম। পুরো ১৫ দিনের জন্য এটি অবিশ্বাস্য চ্যালেঞ্জ ছিল এবং আমরা উপমহাদেশে টেস্ট ক্রিকেট খেলার উত্থান-পতন দেখেছি, এটি কতটা চ্যালেঞ্জিং হয়।’পাকিস্তানের পর আগামী জুনে উপমহাদেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া।
ইবাংলা/ এসআর / ১৬ এপ্রিল, ২০২২