মারিউপোল সেনাদের আত্মসমর্পের জন্য রাশিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছিল তা প্রত্যাখান করেছে ইউক্রেনের যোদ্ধারা।
রোববার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে আলজাজিরা ও বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী সিমিহল বলেন, রোববার রাশিয়া ইউক্রেনের মারিউপোলে আত্মসমর্পণের যে সময় বেধে দিয়েছে তা প্রত্যাখান করা হয়েছে বলেন, মারিউপোলের এখনও পতন ঘটেনি। সুতরাং আমাদের সেনাবাহিনী, যোদ্ধারা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে। এখন পর্যন্ত তারা মারিউপোলেই অবস্থান করছে।
এর আগে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের মারিউপোল সেনাদের আত্মসমর্পণের আলটিমেটাম দিয়ে জানায়, যারা অস্ত্র সমর্পণ করবে কেবল তাদের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
এদিকে লক্ষাধিক মানুষের এই শহরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রুশ সেনারা। শহরটিতে খাবার পানি, ওষুধসহ জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসের সংকটে মানবিক পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।
কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। সূত্র: বিবিসি, আলাজাজিরা
ইবাংলা/ জেএন / ১৮ এপ্রিল, ২০২২