নাটোরের বড়াইগ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মো. শাহীন মন্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন এই রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া কালিকাপুর এলাকার আফছার মিয়াজীর মেয়ে চাম্পা খাতুনের (২৫) সঙ্গে ২০১৫সালে একই উপজেলার তেলো পশ্চিমপাড়া গ্রামের রইস উদ্দিন মন্ডলের ছেলে শাহীন মন্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাম্পাকে নির্যাতন করতে থাকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
বিয়ের ছয় মাস পর ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি সকালে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য চাম্পাকে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে চাম্পার গলা কেটে হত্যা করার পর তারা মৃত অবস্থায় ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ বাড়ির অন্যরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে চাম্পার বাবাসহ এলাকাবাসী শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে চাম্পাকে মৃত অবস্থায় স্বামী শাহীন মন্ডলের ঘরে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে আফছার মিয়াজী বাদি হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় চাম্পার স্বামী শাহীন মন্ডল, শ্বশুর রইস মন্ডল ও শাশুড়ি রমেসা বেগমসহ অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে প্রেরিত হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী শাহীন মন্ডলকে কারাদণ্ড দেন।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটার আরিফুর রহমান রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দন্ডিত আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে আসামি শাহীন মন্ডলকে যাবজ্জীবন সহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।
ইবাংলা/এসআর /২৬ এপ্রিল, ২০২২