ঈদ উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে যাত্রীর চাপ বাড়ছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ অব্যাহত রয়েছে। তবে ঘরমুখো যাত্রীরা বলছেন, তারা ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়াতে আসছে যাত্রী ও চালকেরা। ফেরিঘাটে আসা বেশিরভাগ যাত্রীরা ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে আসছে দেখা গেছে। তবে দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরি পারের অপেক্ষায় কোন যাত্রীবাহী ও ঢাকামুখী বাস সিরিয়ালে দেখা যায়নি।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসা যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দৌলতদিয়া প্রান্তের ব্যবস্থাপনা ভালো। তবে লঞ্চে আসা যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই ২টি রো রো ফেরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে ২০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছেন। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে ৬ দিন পন্যবাহি ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে। ফলে ঘাটে তেমন একটা যানজট হচ্ছে না।
ঢাকা থেকে আসা গোপালগঞ্জগামী কলেজছাত্র সাফাত বলেন, ‘পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত লোকাল বাসে এসেছি। কোনও কষ্ট হয়নি। এরপর ফেরিতে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। এখন ঘাট থেকে দেখি কোন গাড়িতে বাড়ি যেতে পারি।’
সাভার থেকে আসা যশোরগামী যাত্রী সৌরভ শিকদার বলেন, ‘পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত লোকাল বাসে এসে লঞ্চে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। সময় কম লাগে, তাই লঞ্চে নদী পার হয়েছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার ভোগান্তি খুবই কম হয়েছে। চিন্তা করছি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ভাড়া মাইক্রোবাসে বাড়ি যাবো।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ২১টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কাজ করছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, মনে হচ্ছে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা সার্বক্ষণিক ফেরিঘাটে নজরদারি করছি। আশা করছি এবার ঈদে স্বস্তিতে সবাই গৌন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।
ইবাংলা/ জেএন / ২৯ এপ্রিল, ২০২২