ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিটের বিপুল চাহিদা থাকলেও শেষ দিন সোমবার (২ মে) ঘরমুখো মানুষের চাপ নেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই স্টেশনে যাত্রী দেখা গেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে বেশ কিছু ট্রেন। তবে অন্যান্য বছরের মতো ট্রেনগুলোতে নেই তেমন ভিড়। স্টেশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশির ভাগ রেলের যাত্রী ইতিমধ্যে চলে গেছেন।
কমলাপুর রেল স্টেশনে প্রবেশের সময়ও দেখা যায় ভিড় নেই। পরিচিত ধাক্কাধাক্কি বা হৈ-হুল্লোড় নেই টিকিট কাউন্টারগুলোতে। ছোট ছোট লাইনে বিভিন্ন কাউন্টার থেকে টিকিট নিচ্ছেন যাত্রীরা। প্ল্যাটফর্মের ভেতরটাও স্বাভাবিকের চেয়ে স্বাভাবিক। গরমে বেশির ভাগ মানুষ বসে থাকার পরেও প্ল্যাটফর্মে বসার অসংখ্য স্থান ফাঁকা।
অন্যদিন শিডিউল বিপর্যয় ঘটলেও সকাল থেকে দু’একটি ছাড়া বেশিরভাগ ট্রেনই সময়মতো স্টেশন ছেড়েছে। এরমধ্যে চিলাহাটির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে সাড়ে ৮টায়।
শেষ মুহূর্তে যারা রাজধানীর ছাড়ছেন তাদের যাত্রা হচ্ছে অনেকটাই স্বস্তির। গত কয়েকদিন ট্রেনে যে ধরনের ভিড় ছিল আজ তেমন নেই।শেষ দিনে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়া সফিক আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বললেন, অগ্রিম টিকিট কেনার জন্য অনেক চাপ ছিল। অনেক দুর্ভোগ পোহাতে দেখেছি অনেককেই। ধারণা ছিল রোজা ৩০টি পূর্ণ হবে। সেকারণেই আগে থেকেই শেষ দিন যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। সন্ধ্যার পর নিশ্চিত হওয়ার পর অনলাইনে টিকিট কেটেছি। কিন্তু আজ তো যাত্রী তেমন দেখছি না। ট্রেনের সিডিউলও এখন পর্যন্ত ঠিক আছে। খুব ভালো লাগছে।
স্টেশনে যাত্রীদের সহযোগিতায় কাজ করছে স্কাউট। তারা টিকিট দেখে প্ল্যাটফর্ম দেখিয়ে দেওয়াসহ যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সহযোগিতা করছে। যাত্রীদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য স্টেশন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। স্টেশনের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ও র্যাবের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম।
কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, রবিবার (১ মে) যখন আমরা নিশ্চিত হই যে ঈদ মঙ্গলবার হবে, এরপর সন্ধ্যা থেকে আজকের টিকেট বিক্রি শুরু হয়। যারা অনলাইনে টিকেট পাননি তারা এসে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন। আজ তারা তাদের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে পারছেন।
নিজেদের সফলতার কথা তুলে ধরে এই রেল কর্মকর্তা বলেন, এবছর আমাদের বড় সফলতা হচ্ছে বড় কোনও ধরনের শিডিউল বিপর্যয় নেই। আমাদের দায়িত্বরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত কষ্টের কারণে এটি করা সম্ভব হয়েছে।
ইবাংলা/ এসআর / ০২ মে, ২০২২