প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড সংক্রমণ নিশ্চিত করার পরে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রন প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে। তবে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জানানো হয়নি।
কেসিএনএ বলছে, এটি ‘সবচেয়ে বড় জরুরি ঘটনা’, যা দেশের ‘কোয়ারান্টিন ফ্রন্ট’ ভঙ্গ করেছে এবং নেতা কিম জং-উন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে জরুরি বৈঠকে বসছেন।তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে করোনাভাইরাস রয়েছে।উত্তর কোরিয়া জনগণের জন্য কোনো কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচি পরিচালনা করেনি এবং চীনা তৈরি সিনোভাক ভ্যাকসিন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির সীমান্ত বন্ধ রেখে ভাইরাসটিকে প্রতিরোধের লক্ষ্য ছিল। এতে দরিদ্র দেশটিতে প্রয়োজনীয় সরবরাহ ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হয়। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে কোভিড সংক্রমণের বেশ কয়েকটি অসমর্থিত প্রতিবেদন রয়েছে। প্রতিবেশী চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা প্রাদুর্ভাব দেখেছে এবং চীন বর্তমানে ভাইরাসটির ওমিক্রন উপধরন নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে।
গত বছরের জুনে রাষ্ট্রীয় রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, কিম কোভিড সম্পর্কিত একটি ‘গুরুতর ঘটনা’ নিয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের তিরস্কার করেছেন। তবে এ ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করেনি। পরবর্তীতে সেপ্টেম্বরে দেশটি একটি সামরিক কুচকাওয়াজ করেছে, যাতে সৈন্যদের হাজমাট স্যুট এবং মাস্ক পরতে দেখা গেছে। যা কোভিডের বিস্তার রোধে সহায়তা করার জন্য একটি বিশেষ বাহিনী তৈরি করার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : বিবিসি
ইবাংলা /জেএন /১২ মে,২০২২