গ্রাহকের জমা টাকা আত্মসাতের মামলায় ফেনী শাখার সোস্যাশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অফিসারকে (কাশিয়্যার) ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ২২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত হাসান মোহাম্মদ রাসেদ ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মাজার এলাকার মালেক ভবনের আবদুল মালেকের ছেলে এবং ফেনী শাখার সোস্যাশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক অফিসার (কাশিয়্যার)।
রোববার ( ২২ মে ) দুপুর ৩টার দিকে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় প্রদান করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, হাসান মোহাম্মদ রাসেদ (৩৮) ফেনী শাখার সোস্যাশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অফিসার (কাশিয়্যার) হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ব্যাংকের গ্রাহক রিজিয়া সুলতানার হিসাবে জমা দেওয়ার জন্য গৃহিত ৯লক্ষ টাকা ও ৮ লক্ষ টাকা গ্রাহকের হিসাবে জমা দেওয়ার নিমিত্তে গ্রহণ পূর্বক গ্রাহককে জমা রশিদ প্রদান করিলেও গৃহিত টাকা গ্রাহকের হিসাবে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।
উক্ত অভিযোগের আলোকে তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল ফেনী থানায় মামলা দায়ের করেন। দুদকের পক্ষে মামলাটি তদন্ত পূর্বক অভিযোগ পত্র দাখিল করেন দুদকের নোয়াখালীর তৎকালীন ডি.ডি জাহাঙ্গীর আলম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বলেন, দুপুর ৩টার দিকে মামলার শুনানি শেষে বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান অভিযুক্ত আসামিকে পাঁচটি ধারায় মোট ৩০ বছরের কারাদণ্ড ও ২২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত হাসান মোহাম্মদ রাসেদ রায় শেষে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইবাংলা /জেএন /২২ মে,২০২২