রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় অনলাইনে পূরনকৃত কিছু আবেদন যাচাই বাছাইকালে আবেদনে প্রদত্ত ঠিকানা ভুয়া পরিলক্ষিত হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মূল আসামি মো. মাসুদ মিয়া পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি, ঢাকা বরাবর অনলাইনে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের সাথে সংযুক্ত অনলাইন ডকুমেন্ট সন্দেহ হওয়ায় মতিঝিল বিভাগের ডিসির নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে গোপনে তদন্তের কাজ চালানো হয়।আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলের প্রত্যয়নপত্রটি যাচাই করে প্রত্যয়নপত্রটির স্বাক্ষর ও প্রত্যয়নপত্রটি সঠিক নয় মর্মে ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিখিতভাবে জানান।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানীর কয়েকটি এলাকা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. মাসুদ মিয়া (৪৮), মো. কামাল হোসেন (৪৮) ও মো. গোলাম কিবরিয়া (৫৩)।
বুধবার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মতিঝিল বিভাগের ডিসি আব্দুল আহাদ।
ডিসি আব্দুল আহাদ বলেন, আাসামি মাসুদ মিয়ার নামে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানায় একাধিক মামলা থাকায় সে বিদেশ গমনের জন্য পল্টন মডেল থানার ঠিকানা ব্যবহার করে পল্টন মডেল থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য আসামী কামাল হোসেন কে ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে পাসপোর্ট প্রদান করে।
আসামি মো. কামাল হোসেন ২৮ হাজার টাকা চুক্তিতে আসামি মো. গোলাম কিবরিয়া কে মাসুদ মিয়ার পাসপোর্ট প্রদান করে। এজাহার নামীয় গ্রেফতার ও পলাতক আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মূল পাসপোর্টের তথ্য পাতা স্ক্যান করে জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা কম্পিউটারের মাধ্যমে এডিট করে পল্টন মডেল থানার একটি ঠিকানা ব্যবহার করে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে।
পাসপোর্ট ধারীর ঠিকানা পরিবর্তন ও এডিটকৃত পাসপোর্টের ফটোকপিতে জাল সিলমোহর ও জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে সত্যায়নকারী ডাক্তারের সিল ও স্বাক্ষর ভুয়া তৈরি করে সত্যায়নপূর্বক পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করে।
আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাল সিলমোহর তৈরি করে পাসপোর্টধারীর ঠিকানা পরিবর্তন করত। এডিটকৃত পাসপোর্টের ফটোকপিতে জাল সিলমোহর ও স্বাক্ষর করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করে আসছিল।গ্রেফতার বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ইবাংলা /জেএন /০১ জুন ,২০২২