কুমিল্লা সিটিতে ৩ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট

‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৬০ কোটি টাকায় দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন’ টকশোতে এমন মক্তব্য করায় তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (১ জুন) চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ।

মামলার আসামিরা হলেন- জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) সভাপতি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরী ও টেবিল টক ইউকের সঞ্চালক হাসিনা আক্তার। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ জুলাই।

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের সভার সিদ্ধান্তে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

তার দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিএনপি-জামায়াতের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় লন্ডন থেকে পরিচালিত ইউটিউব চ্যানেল ‘টেবিল টক ইউকে’র মাধ্যমে গত ১৯ এপ্রিল একটি টক শো করে।

টকশোতে মামলার বাদী এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বিষোদগার এবং মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালানো হয়। এর মধ্যে ১ নং আসামি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ওই টকশোতে উল্লেখ বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের নমিনেশন এনসিও করতে ১৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পরে শুনা যায় এই টাকার পরিমাণ ৬০ কোটি। তারা টকশোতে মানহানীকর বক্তব্য দেন। এছাড়া টকশোতে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সম্মানহানী করেন।

ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লা কোনো ধরনের তথ্য প্রমাণ ছাড়া এ মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানীকর বক্তব্য উপস্থাপন করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের সম্মানহানী এবং আরফানুল হক রিফাতের পারিবারিক ও সম্মানহানী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মামলার আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, একই টকশোতে ২ নং আসামি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. মনিরুল হক চৌধুরী পরিকল্পিতভাবে অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্যকে সমর্থন করে বাদীর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের সম্মানহানী করেছেন। এছাড়া ৩ নং আসামি হাসিনা আক্তার ওই টকশোতে ‘৬০ কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন ক্রয় করেছে গডফাদার রিফাত’ শিরোনামে সংবাদ সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে সম্মানহানী করেছেন।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার ঘৃণ্য চেষ্টায় লিপ্ত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ইবাংলা /জেএন /০১ জুন ,২০২২

Contact Us