আটা-ময়দা মিশিয়ে আমেরিকার ব্রোনসন কোম্পানি ও ৮টি দেশি কোম্পানিসহ মোট ৯টি কোম্পানির ঔষুধ নকল করতেন একটি চক্র। জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচলিত এসব ওষুধ নকল করে শহরতলী ও গ্রামের বাজারে ছাড়তো।
গতকাল (৫ জুন) এই চক্রের মুল হোতাসক ১০ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগে কোতয়ালী জোনাল টিম। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা ২০ লক্ষ পিট নকল ঔষুদ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৬ জুন) রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, ইউনানী ওষুধ যখন থেকে ট্যাবলেট আকারে বাজারে আসতে শুরু করেছে, তখন থেকেই এধরণের এলোপ্যাথি ওষুধ নকল হতে শুরু করেছে বেশ কিছু চক্র। নামি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা চাহিদা বিবেচনায়,গ্যাসের ওষুধ, ব্যথার ওষুধ এবং বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধগুলো তারা নকল করতো কুমিল্লার কাপ্তান বাজারে অবস্থিত হিমালয় ল্যাবরেটরিজ নামে একটি ইউনানি ও হারবাল ওষুধ কোম্পানি।
বাংলাদেশের নয়টি নামকরা ও ইউএস’র একটি নামকরা ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানীসহ মোট ১০ টি কোম্পানির জনপ্রিয় ওষুধ তারা আটা, ময়দা এবং অন্যান্য রাসায়নিক মিশিয়ে শুধু মোড়ক লাগিয়ে বাজারে ছাড়তো। পেন্টোনিক্স, সেকলো, মোনাস, সার্জেল ক্যাপ্সুল, ফিনিক্স, থিজা, মাইজিদ, নেপ্রোক্সেন প্লাস এবং জিবি৬০ এর মতো ওষুধগুলো বিক্রি করতো এই চক্রটি।
নকল ঔষধ তৈরির চক্রটির মূলহোতা মো. কবির হোসেন ও মোরশেদ আলম শাওন নকল ঔষধ তৈরি করে ও সহযোগী আসামী নাজিম উদ্দিন, আল আমিন চঞ্চল, মো. তৌহিদ, মো. সাগর, আবির, রুবেল, পারভেজ, আইনুলদের মাধ্যমে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসযোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাজারজাত করে আসছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির কোতয়ালী থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
ইবাংলা/ জেএন /৬জুন,২০২২