চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫০ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর সাত ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে (১৬জুলাই) শনিবার চট্টগ্রামের ৩০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৫০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪১ জন ও পাঁচ উপজেলার ৯ জন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৩৮ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৩১০ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৭২৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন এবং বাঁশখালী, আনোয়ারা ও পটিয়ায় একজন করে রয়েছেন।
আরওপড়ুন…করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলছে চট্টগ্রামে
(১৬জুলাই) শনিবার করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৬ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৬ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এখানে শহরের ১৫ ও গ্রামের ২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৬০ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৮ টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৭ নমুনায় গ্রামের ৩ টিতে ভাইরাস ধরা পড়ে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে পরীক্ষিত ১৪ নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের একটির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। এতে গ্রামের একজন সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। এপিক হেলথ কেয়ারে ২৭ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫ টিতে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৪৫ টি নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৫ ও গ্রামের ২ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
এদিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, চমেকহা’য় ২৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১৩ দশমিক ৩৩, সিভাসু’তে ১৭ দশমিক ৬৫, আরটিআরএলে ২৮ দশমিক ৫৭, শেভরনে ১৫ দশমিক ১৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৮ দশমিক ৫২, এশিয়ান সেপশালাইজড হাসপাতালে ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
ইবাংলা/জেএন /১৭ জুলাই,২০২২