জেলায় চাহিদার তুলনায় বার্ষিক ২ হাজার মেট্রিক টন বেশি মাছ উৎপাদন হয়েছে বলে মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম বদরুজ্জামান জানান, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে জেলায় মাছ উৎপাদন হয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৫ মেট্রিক টন।
মাছের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ৬৬০ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় ২ হাজার ৫ মেট্রিকটন বেশি মাছ উৎপাদন হয়েছে।বার্ষিক চিংড়ির উৎপাদন ৩হাজার ১৪৩ মেট্রিক টন।এ জেলায় হ্যাচারীর সংখ্যা ২টি,নার্সারীর সংখ্যা ২টি এবং অভয়াশ্রমের সংখ্যা ২টি।
আরও পড়ুন…তুরাগে মিলল শিক্ষার্থীর লাশ
জেলার ৩ উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৪২৫টি পুকুর, ৫হাজার ৩৯১টি চিংড়ি ঘের রয়েছে।চিত্রা, নবগঙ্গা, মধুমতি, আফরা, কাজলাসহ মোট ৭টি নদী, ৫৯টি খাল,৩২টি বিল রয়েছে।৭ হাজার ৩০৫ জন মৎস্য চাষি মাছ চাষ করেন।
মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭১৭জন, নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৮৪ জন। মৎস্য খাদ্য কারখানা ১টি, খাদ্য আমদানি কারক ১ জন ও মৎস্য খাদ্য বিক্রেতা রয়েছেন ৩৪ জন।এ জেলায় কার্প জাতীয় রেণু পোনা উৎপাদন হয় ২ কোটি ৭২লক্ষ।চাহিদা রয়েছে ৪কোটি রেণু পোনার।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম বদরুজ্জামান আরো জানান,মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে ভরাট হওয়া উন্মুক্ত জলাশয় পুন:খননের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি,দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ ও সংরক্ষণে চাষিদের আরো বেশি সম্পৃক্তকরণ।
সরকারি মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের উন্নয়ন এবং গলদা চিংড়ি পিএল উৎপাদনের জন্য হ্যাচারী সংস্কার ও আধুনিকায়ন,অভয়াশ্রম স্থাপনের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় মৎস্য প্রজাতির সংরক্ষণ, বিল নার্সারী কার্যক্রমের আওতা বাড়ানো এবং মৎস্য ও চিংড়ি অবতরণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন…মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময়
নড়াইল সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: এনামুল হক জানান, নড়াইলে কার্প জাতীয় মাছ চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। স্বাদু পানির মাছের মধ্যে শিং, কৈ,পাবদা,টেংরা,পুটি ও মাগুর ব্যাপকভাবে উৎপাদন হচ্ছে।
দেশি কৈয়ের পাশাপাশি চাষ হচ্ছে থাই ও ভিয়েতনামের কৈ। মাছের চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর স্থানীয় পর্যায়ের সফল মৎস্যচাষি, ব্যক্তি, উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়ে থাকে।এছাড়া মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে মৎস্য চাষিদের মাছ চাষ বিষয়ক বিশেষ পারামর্শ সেবা প্রদান, পুকুরের মাটি ও পানি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে বলে তিনি।
ইবাংলা/জেএন/২৬ জুলাই,২০২২