বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু (বা যমুনা রেল সেতু) হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রেলওয়ে সেতু যা সিরাজগঞ্জ জেলার সাথে টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর উপজেলাকে যুক্ত করেছে। যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে অবস্থিত এই পৃৃৃৃথক রেল সেতুর নির্মাণ কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু।
উত্তরবঙ্গের ছয় লেনের মহাসড়ক নির্মাণকাজ বেশ আগেই শুরু হয়েছে। এবারে বড় আকারে রেলপথ সংযোগের আওতায় আসতে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ। যার শুরুটা হচ্ছে যমুনা নদীর ওপরে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু দিয়ে। রেল বিভাগ বলছে, পুরো দেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন…ফেসবুকে পিস্তলের ছবি আপলোড করায় এক তরুণ আটক
সেই উদ্যোগের একটি অংশ উত্তরের জনপদের রেলসংযোগ সংস্কার ও নতুন রেলপথ সংযোজন।২০২০ সালের অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে দিনে ৪৪টি ট্রেন চলাচল করে সেখানে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মিত হলে প্রতিদিন ৬৮টি রেল চলাচল করতে পারবে।
একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও চলছে। অন্যপাশে ভারতের ফুলবাড়ি অংশে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করছে দেশটির রেলবিভাগ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত রেলের মোট ৩৬টি প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে সোয়া এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। আর এসব প্রকল্পের মধ্যে ১৫নং মেগা প্রকল্পটি হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু।
শুরুতে প্রাথমিকভাবে সেতুর অনুমোদিত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে উদ্বোধনের আগেই নির্মাণ ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা করা হয়। এরমধ্যে জাপানি আন্তর্জাতিক সংস্থা (জাইকা) ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করছে। বাকি অর্থ বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন…রাজধানীতে সর্বোচ্চ ৩ ঘন্টা লোডশেডিং দেবার পরিকল্পনা !
ইতোমধ্যে এই সেতুর ৩৮টি পিলারের পাইলিংয়ের কাজ শেষ। আরো বেশ কয়েকটি পিলারের পাইলিংয়ের কাজ শেষের দিকে। জুন পর্যন্ত এই সেতুর অগ্রগতি ৪২ শতাংশ। দিন যতই যাচ্ছে ততই দৃশ্যমান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু।
সেতুটি নির্মাণ হলে একদিকে যেমন উত্তরের যোগাযোগ খাতে নবদিগন্তের সূচনা হবে তেমনি খুলবে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দুয়ার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর (এডিডিআই) অতিরিক্ত চিফ প্রকৌশলী মো. আহসান জাবির।
বর্তমানে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-কালিহাতী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা এই দুই প্রান্তে রেল সেতু নির্মাণে ৫০টি পিলারের মধ্যে অর্ধেকের বেশি পিলারের পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সেতু এলাকায় সরেজমিন ঘুরে ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে মিলেছে এসব তথ্য।
ইবাংলা/জেএন/৭ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.