পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডাকা ‘মেজর ইকোনমিজ ফোরাম অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট’ শীর্ষক সম্মেলনে ধারণ করা ভাষণে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ফোরামের বিবেচনার জন্য ছয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।
প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি (প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায়) দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখতে শিল্পোন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
দ্বিতীয় দফায় তিনি বলেন, জলবায়ু তহবিলের জন্য উন্নত দেশগুলোর বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে এবং অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাতের বিতরণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার তৃতীয় প্রস্তাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি হস্তান্তরের পাশাপাশি সবচেয়ে কার্যকর জ্বালানি সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
চতুর্থ প্রস্তাবে তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উত্তরণের ক্ষেত্রে, জাতি-রাষ্ট্রগুলোর সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলো হিসেবে নেওয়া এবং তাদের কতটা লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে সেগুলো বিবেচনা করা উচিত।
পঞ্চম প্রস্তাবে তিনি বলেছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীর ভাঙন, বন্যা ও খরার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের পুর্নবার্সনের দায়িত্ব সব দেশের ভাগ করে নেওয়া দরকার।
শেখা হাসিনা সবশেষ প্রস্তাবে বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোকে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী সব অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি আরও বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন, বন্যা ও খরার প্রভাব ছাড়াও ১১ লাখ রোহিঙ্গা জোরপূর্বক মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে বাংলাদেশ গুরুতর জলবায়ু প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় তার সরকার অগ্রণী হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও হালনাগাদকৃত এনডিসি জমা দিয়েছে।
ইই