আমার চেতনায় বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু
নূর-উন-নাহার মেরী
বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের এক মহানায়ক। তাঁকে নিয়ে কিছু লিখতে যাওয়া আমার জন্য ধৃষ্টতাই বটে, তথাপি হৃদয়ের গভীর গহীনে এই মহানায়কের জন্য আজন্ম লালিত শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, তার প্রথম উন্মেষ ঘটে যখন আমি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে অবস্থান করছি (বাবার চাকরির সুবাদে), বাংলাদেশে ‘৬৯-এ যখন ৬ দফা আন্দোলন শুরু হয়, তখন থেকেই বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বে পাকিস্তানে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে ঔপনিবেশ শাসন, শোষণ, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতিসত্তা বা জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের সূত্র ধরেই কালক্রমে জন্মলাভ করে এক স্বতন্ত্র নতুন বাঙালি জাতীয়তাবাদ। এই নতুন জাতীয়তাবাদী চেতনার ভিত্তি রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়।
পশ্চিম পাকিস্তানে থাকার কারণে শোষণ, বঞ্চনা-বৈষম্যের মধ্য দিয়েই আমার বেড়ে উঠা- কৈশোর জীবনেই আমার মরহুম পিতার মুখে সর্বদা শুনতাম পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা পাকিস্তান রাষ্ট্রের মোট জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ। অথচ এই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চাওয়া-পাওয়া, আশা আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানের রাজধানী পূর্ব বাংলায় না করে স্থাপিত হয় করাচিতে।
আরও পড়ুন…বিশ্বের মানুষ উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত জীবন পেতে আগ্রহী: সি চিন পিং
বয়বৃদ্ধির সাথে বিশেষ করে ৬ দফা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন কর্মসূচি এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কাজ করতে গিয়ে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি- পূর্ব বাংলার ইতিহাস:শোষণের ইতিহাস, পূর্ব পাকিস্তানের সোনালি আঁশ দিয়ে অর্জিত হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে অথচ ব্যয় করা হতো পাকিস্তানের উন্নয়নমূলক কাজে ।
আর পূর্ব বাংলার মানুষরা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। তাই পশ্চিমাদের বৈরী মনোভাবের নগ্নরূপ আমার কৈশোর জীবনেই মানসপটে বিদ্রোহের দানা বেধে ওঠে। ১৯৬৪ সালে অপ্রত্যাশিতভাবেই প্রাদেশিক পরিষদে বিল পাস করল, উর্দুই হবে এখানকার শিক্ষার একমাত্র বাহন। এরই ফলশ্রুতিতে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী থাকাবস্থায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটিতে যোগদান করি। সেই কমিটির সভাপতি ছিলেন প্রফেসর এম. আর. খান, আর সাধারণ সম্পাদক এবিএ, সাখাওয়াত উল্লাহ। এই সংগঠনের মাধ্যমে আমার ছাত্র রাজনীতিতে পদার্পণ ।
পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে এই পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সমিতি ছাত্রলীগে রূপান্তরিত হয়। ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের সকল আন্দোলন-সংগ্রামের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে হাতে নেয়া হয় নানামুখী কর্মসূচি। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান ছাত্রলীগের বিপ্লবী ছাত্রনেতা মো. ফরিদুল আলম-এর আঙুল ধরে ছাত্র রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ি। ফরিদুল আলম (সম্পর্কে আমার আপন মামা) ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য, তার রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শনের অন্যতম পূজারী।
সেই ছাত্রনেতার কাছ থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নৈকট্য লাভের সুযোগ লাভ করি। বিশেষ করে ১৯৬৫ সালের ৬ ও ৭ জুন প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিতসভায় দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে দু’বার গণআন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প ঘোষণা করেন। আইয়ুব-মোনেম শাসক চক্র এই ঘোষণায় অনেকটা ভীত হয়ে যায়, ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমেই মূলত স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের সূত্রপাত। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ দফা আন্দোলন। এই ৬ দফা মুক্তি সনদ আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বৈপ্লবিক চেতনার স্ফুরণ আমার কৈশোর চিত্তকে আন্দোলিত করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল ১৭ মার্চ ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক নিভৃত পল্লীতে। ঐতিহাসিক ১৭ মার্চ এই মহান নেতার জন্মবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে তাঁর বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলতে চাই ।
বঙ্গবন্ধু শুধু জাতীয় নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মহান নেতা, বিশ্বনেতা। একটি দেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, তাঁদের শর্তহীন সমর্থন লাভ করেছিলেন। সেই সমর্থনের ভিত্তিতে স্বাধীনতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন। ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের যে বীজ রোপিত হয়েছিল, সেই হতে শুরু করে তাঁর ২৪ বছর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সংগ্রামী ফসল স্বাধীনতার সংগ্রাম।
এই সংগ্রামী জীবনে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। তাই দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে হয়-এই মহান নেতার জন্ম না হলে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে এই দেশটির অভ্যুত্থান ঘটত না। আর বাঙালি জাতি পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারত না।
সমকালীন ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, পৃথিবীর কোনো নেতাই তাদের নেতৃত্বে বিশ্বের সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন নাই । যুক্তরাষ্ট্রের কালজয়ী প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন যখন নিজ দেশের বর্ণবাদ আন্দোলন থেকে সৃষ্ট তাঁর দেশের গৃহযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন তখন ঐ দেশের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৩ কোটি। তারমধ্যে ২ কোটি ৯০ লক্ষ মাত্র তাঁর প্রতি সমর্থন দেন। বাকি ১০ লক্ষ তাঁর স্বপক্ষে ছিলেন না। বিশ্বের আর এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহানায়ক উইনস্টন চার্চিল যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তখন ইংল্যান্ডের লোক সংখ্যা ছিল ৩ কোটিরও কম। ইন্দোনেশিয়ার মহান নেতা সুকর্নো যখন স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন তখন দেশটির জনসংখ্যা ছিল ৫ কোটিরও কম।
তাছাড়া মুক্তিকামী মানুষের মহান নেতা দক্ষিণ ভিয়েতনামের হো চি মিন, মিশরের জামাল উদ্দীন নাসের- তাঁদের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন সংগ্রামের ইতিহাস থেকে জানা যায়, সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে একই পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করার বিরল দৃষ্টান্ত কেবল বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানই স্থাপন করতে পেরেছিলেন। তাই তিনি দেশ, জাতি, রাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে হতে পেরেছিলেন বিশ্ব নেতা।
বঙ্গবন্ধু যে কত বড় মাপের নেতা ছিলেন, তা আমরা উপলব্ধি করতে পারি তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিভিন্ন ঘটনা এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বহু ঐতিহাসিক ঘটনার নায়ক বঙ্গবন্ধুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং অবদানে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বিচক্ষণতা এবং দূরদর্শিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যায়। বাংলার ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল ঘটনা ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।
দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হায়েনাদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে পাকিস্তান থেকে লন্ডন হয়ে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায় প্রত্যাবর্তনের সময় লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করলে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। পরের দিন ৯ জানুয়ারি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ-এর আমন্ত্রণে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রেট প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছলে সেখানে ঘটে এক অভূতপূর্ব ঘটনা।
যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য কখনো অস্ত যায় না বলে কথিত সেই গ্রেট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ তার দেশ ও জাতির ঐতিহ্য ও সম্ভ্রমকে স্নান করে দিয়ে বাংলাদেশের মতো হতদরিদ্র সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে বহনকারী গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানালেন। বাংলা’র এই রাখাল রাজাকে এভাবে সম্মান জানাতে দেখে উপস্থিত জনৈক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথকে ব্রিটিশ জাতির মান মর্যাদা তথা রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করলে উত্তরে এডওয়ার্ড হিথ স্মিত হেসে বলেছিলেন, আমি কোনো রাষ্ট্র প্রধানকে সম্মান জানাইনি, আমি সারা বিশ্বের মুক্তিকামী-গণতন্ত্রকামী মানুষের মহান নেতা এবং একজন বিশ্বনেতাকে সম্মান জানিয়েছি। এই ঐতিহাসিক ঘটনাই সত্য এবং বাস্তব যে, বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশের একজন জাতীয় নেতাই ছিলেন না তিনি ছিলেন সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মহান নেতা-বিশ্বনেতা।
আরও পড়ুন…গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা আজ
বিশ্ব রাজনীতির আর এক ঐতিহাসিক ঘটনা ১৯৭৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ারি বুমেদীনের আমন্ত্রণে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ দেশসমূহের শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু যোগদান করেন। ঐ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেছিলেন- ‘বিশ্ব আজ শোষক এবং শোষিত এ দু’ভাগে বিভক্ত। বঙ্গবন্ধু আরও বলেছিলেন- শোষিত বিশ্বকে বাঁচাতেই হবে- এটাই আমার সংগ্রাম’।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শেষ হওয়ার সাথে সাথে কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ট্রো বঙ্গবন্ধুকে জড়িয়ে ধরিয়ে বলেন- ‘মুজিব, শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের সংগ্রাম আমারও। তবে তুমি আজ বিশ্বকে দু’ভাগে বিভক্ত করে চিহ্নিত হয়ে গেলে, কাজেই সাবধান। ফিদেল কাস্ট্রো পরোক্ষভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার কথাই ইঙ্গিত করে বলেছিলেন।
১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্টিয়াগোতে বিশ্ব শান্তি পরিষদে প্রেসিডিয়াম সম্মেলনে বাঙালি জাতি তথা সমগ্র তৃতীয় বিশ্বের জনগণের সংগ্রামের অনন্য সহযাত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক চিন্তা-চেতনা এবং বিশ্ব শান্তি, প্রগতি, স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী ও নিপীড়িত জনগণের অকৃত্রিম বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে আয়োজিত শান্তি পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্রসমূহের অতিধিনের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে আবেগ-আপ্লুত কণ্ঠে বলেছিলেন-এ বিরল সম্মাননা কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়, এ সম্মাননা বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানীদের, এ সম্মাননা সমগ্র বাঙালি জাতির, এ সম্মাননা বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কথা একেকটি দর্শন ও দিক নির্দেশনা। তাঁর চিন্তা-চেতনা, আত্ম-উপলব্ধি এবং আত্মত্যাগের মহিমা, তাঁর বাঙময়তা সবকিছু মিলিয়ে তিনি এক কিংবদন্তী। তিনি বাঙালি জাতির গৌরব ও অহঙ্কার, তাই তিনি শতাব্দীর মহানায়ক। তাই অন্নদা শঙ্কর যথার্থই বলেছেন,
“যতকাল রবে পদ্মা, যমুনা, গৌরী, মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।”
মহাত্মা গান্ধী যেদিন আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তখন বলেছিলেন-
Weep India Weep
until they heart breaks
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু যখন সপরিবারে ঘাতকের গুলিতে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডে নিহত হন- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ওই সময় যদি জীবিত থাকতেন তাহলে নিশ্চয়ই বলতেন-
Weep Bangladesh Weep
Until they heart breaks.
ইবাংলা/জেএন/১৩ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.