রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের বেইলি ব্রিজ গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতষ্কে রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় রামুর গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ার দুই ইউনিয়নসহ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম এই সড়ক।
ককসবাজারের রামু চৌমুহনী থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর পযন্ত ১২ কিলোমিটারের সড়কে বেইল ব্রিজ রয়েছে ৪টি বেইলি সেতুর সবকটিই ঝুঁকিপূর্ণ বলে সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ বছরে পাকা গার্ডার সেতু না হওয়ায় বেইলী সেতুগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। সড়ক বিভাগ তাই প্রতিটি সেতুর দুই পাড়েই ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, সর্বোচ্চ ৫ টন মালামাল গাড়িতে পরিবহন করা যাবে’- এমন বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সড়ক বিভাগের লাগানো এসব বিজ্ঞপ্তি যানবাহন চালকরা প্রায়ই অমান্য করে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো দিয়ে ৫ টনের অধিক পণ্যবাহী গাড়িও চলাচল করে। ফলে সেতুগুলো আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বেইলী সেতুগুলো জরাজীর্ণ হওয়ায় সড়ক বিভাগ জোড়াতালি দিয়ে, মাঝে মধ্যে সংস্কার করে এগুলো যানবাহন চলাচলের জন্য সচল রেখেছে।
কিন্তু অনেকগুলো সেতু এতোটাই জরাজীর্ণ যে বেইলী সেতুকে টিকিয়ে রাখতে আলাদা লোহার পাইপ ও বালুর বস্তা দিয়ে কোনোমতে রক্ষা করে সেতুগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
মো-হুমায়ুন, আবু ছালেহ ও মরিয়ম বলেছেন, নাইক্ষংছড়ি-রামু সড়কে যে বেইলি ব্রীজ গুলো এখনো ঝুকিপুন হয়ে পড়েছে। এসব বেইলি ব্রীজ গুলো দ্রæত মেরামত করা দরকার বলে মনে করি।
আরও পড়ুন…ফুলবাড়ী মহাসড়কে ট্রাক নাইট কোচ মুখমুখি সংঘর্ষে নিহত-২
বান্দরবান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সড়ক বিভাগের আওতায় থাকা ৭৬টি বেইলী সেতুকে পাকা গার্ডার সেতুতে পরিণত করার কাজ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি সেতু পাকা করণের কাজ শেষ পর্যায়ে। বাকি গুলো কাজ করার জন্য সরকার থেকে বরাদ্ধা চাওয়া হবে।
ইবাংলা/জেএন/২৩ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.