শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাজ স্থগিত থাকবে। ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তিনটি শর্ত পূরণ করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফান্ড ও লোকবলের ঘাটতি দূর করা এবং মেজর সেফটি শতভাগ নিশ্চিত করা।
শর্ত পূরণ না হলে কাজের অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রকল্প পরিদর্শন শেষে শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর চৌরাস্তায় ব্রিফিংয়ে এসব বলেছেন বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম।এ সময় তিনি জানান, জসীমউদ্দীনে গার্ডার দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং কার কার দায় আছে, তা দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
রাজধানীর বিমানবন্দরের বলাকা কার্যালয়ের সামনে থেকে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে বিআরটি করিডোর পরিদর্শন করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।প্রকল্পের আওতায় রয়েছে এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার, জসীমউদদীন ফ্লাইওভার, হাউজ বিল্ডিং থেকে স্টেশন পর্যন্ত ফ্লাইওভার, টঙ্গীতে ফ্লাইওভার অংশে স্টেশন, সমতলে নির্মাণাধীন স্টেশন (তারাগাছ স্টেশন), বিআরটি করিডোরের জন্য নির্বাচিত সড়কের অংশ, গাজীপুর চৌরাস্তা স্টেশন ও ফ্লাইওভার এবং বিআরটি ডিপো।
শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের ফিজিক্যাল নির্মাণকাজ আরএসবি অংশের ১৬ কিলোমিটারের ৮২ দশমিক ৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
বিবিএ অংশের সাড়ে ৪ কিলোমিটারের ৭২ দশমিক ৩৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
আশা করা হচ্ছে , ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে অধিকাংশ কাজ শেষ হবে। বাকি কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে। ওই বছর জুন নাগাদ প্রকল্পটি চালু করা যাবে।
প্রকল্প পরিদর্শন কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং ঢাকা বিআরটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এএম আমানুল্লাহ নুরী।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১৫
তার সঙ্গে ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), সেতু কর্তৃপক্ষ, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অবকাঠামো গড়ে তুলতে আর যেন কোনো অপ্রত্যাশিত মৃত্যু না হয় সেই বিষয়ে খুব সতর্ক রয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ইবাংলা/জেএন/২৭ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.