পটুয়াখালীর বাউফলে নিজ পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণে বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারী চাকরি করা দুই ভাইয়ের ক্ষমতার দাপটে ঘর তুলতে পারছেনা বাউফলের মদনপুরা ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী হাসান গাজী। মোতালের গাজী ও হাসান গাজীর করা আলাদা আলাদা অভিযোগে বলা হয়েছে ভুক্তভোগী হাসান গাজী ও তার পরিবারের অনান্য সদস্যদের নাসির, বশিরের কুর্তৃক হ্যারেজমেন্টর কথা।

আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান

অভিযোগ সুত্র বলছে, নাসির উদ্দিন ও তার ভাই বশির উদ্দিনের ক্ষমতার দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। দুই ভাই সরকারী চাকুরি করলেও এলাকায় রয়েছে তাদের লাঠিয়াল বাহিনী। তাদের অবৈধ ভাবে উপার্জিত অঢেল টাকা ও ক্ষমতার ভয়ে এলাকার কেউই তাদের বিরিদ্ধে মুখ খুলতে সাহস দেখায় না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়য়ের অধীনে একটি প্রকল্পে কর্মরত নাসির একটি মামলাবাজ নামেও এলাকায় পরিচিত। দুই ভাইয়ের রয়েছে আলাদা বাহিনী। এলাকার কারো সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলেও তারা সন্ত্রাসী দিয়ে নানা ভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ পুরোনো ।

দুদকে করা অন্য একটি অভিযোগে বলা হয়, দুই ভাইয়ের বরিশাল, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজ নামে ও আত্মীয় সজনদের নামে গড়ে তুলেছে অঢেল অবৈধ সম্পদ। তার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেনামে গচ্ছিত টাকা, ফ্লাট, বাড়ির শেয়ার ও জমিজমা রয়েছে বলে জানা যায়।

তাছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারী প্রকল্প ও ত্রানের মালামাল নিজ এলাকায় একে বিক্রি ও আত্মীয় সজনদের মাঝে বন্টনের অভিযোগ। জানা যায় সে খুলনা ও বরিশালে কর্মরত অবস্থায় প্রকল্পের সোলার প্যালের ও ত্রানের কম্বল বাড়িতে এনে অবৈধভাবে বিতরন করেছেন। সে সরকারী চাকরিজিবী হয়েও নিয়মিত মাদক সেবন করেন।

আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ,পুলিশসহ আহত ২০

অপরদিকে, তার ভাই বশির উদ্দিনও একটি ছোট পদে চাকরি করেও ঢাকায় ফ্যামিলি নিয়ে রাজকীয় বসবাসের পাশাপাশি গড়ে তুলেছে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ সম্পদ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগি হাসান গাজীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বশির উদ্দিন পুলিশের চাকরি করায় তার ক্ষমতার দাপটে সে ও তার পরিবার কাউকে কোন গনার মধ্যে রাখছে না। বাড়ির মানুষজন তাদের অত্যাচারে প্রায় গৃহ বন্ধি ভাবে বসবাস করছে। তারা স্থানীয় সালিশ মানে না। কিছু হলেই টাকার গরমে মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্থা করে বেড়ায়।

মোতালেব গাজির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে প্রায় ৩৫ বছরের পুরাতন বসবাসের অনুপযোগী টিনের ঘরটি পূনঃনির্মান করতে গেলেও তারা দুই ভাই ও তাদের পরিবার অবৈধক্ষমতা দেখিয়ে প্রত্যক্ষভাবে বাধা দিয়ে আসতেছে।

আরও পড়ুন…পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

ঘটনার বিষয়ে বশির উদ্দীনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের বিষয়টি যেহেতু আদালাত পর্যন্ত গড়িয়েছে সেখানেই এর সমাধান হবে। আমাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। আমরা ঘর নির্মাণে বাধা দিয়েছি ঠিক এমন নয় আসলে জমি জমা সঠিক করেই দখলে থাকার দরকার রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, এলাকার চেয়ারম্যান বিষয়টি নিজে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে মিমাংশা করার চেষ্টা করলেও তাদের নিয়ে মিমাংশার জন্য বসতে ব্যার্থ হয়। নাসির চেয়ারম্যানের সাথে এ বিষয়ে বার বার বেয়াদবি করেছে।

ইবাংলা/জেএন/২৯ আগস্ট ২০২২

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us