বাংলাদেশের বড় অর্জন কুশিয়ারার পানিবণ্টন চুক্তি
ইবাংলা প্রতিবেদন
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারার পানিবণ্টন নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের ভারত সফরের একটি বড় অর্জন।
০৬ আগস্ট মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আয়োজিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের দুদিনের কর্মকাণ্ড নিয়ে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার আলম বলেন, এ সমঝোতা স্মারকের বিনিময়ে ভারতকে কিছু দিতে হয়নি বাংলাদেশের।
দুই দেশের সম্পর্ক কখনও দেয়া-নেয়ার ভিত্তিতে ছিল না।সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, পানি প্রত্যাহারের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ৫ হাজার একর জমি সেচের আওতায় আসবে। শুষ্ক মৌসুমে এসব জমি পানি সংকটে ছিল।
আরও পড়ুন…তিস্তাসহ সকল অমীমাংসিত সমস্যা শিগগিরই সমাধান
তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ মনে করে ভারত অবশ্যই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। তবে এতে সময় লাগতে পারে।
আর কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমঝোতা স্বাক্ষর হওয়ার ফলে একটি গতির সঞ্চার হয়েছে। তিস্তা পানি ইস্যু সমাধানে আমরা এটিকে ধরে রাখব।
আরও পড়ুন…গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মার ভাঙন
শাহরিয়ার আলম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে গুরুত্ব দিয়েছে ভারত। দিল্লির রাস্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও দুই দেশের বন্ধুত্বের পোস্টার এবং সফর নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাভারেজে এটি দৃশ্যমান।
তিনি জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন রোহিঙ্গা ইস্যুর একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসন। এ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের বিষয়ে তিনি মোদির সহযোগিতা চেয়েছেন। ভারত জানিয়েছে তারা এ বিষয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন…সাঁওতালদের জমি-বসতবাড়ি রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ভারত বিষয়টিতে নজর রাখছে।তিনি আরও জানান,
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরেছে এবং একে অপরের সহযোগিতা চেয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু, কানেক্টিভিটি, জ্বালানি ও বাণিজ্য সহযোগিতা এবং পানিবণ্টন ও ব্যবস্থাপনা আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।
ইবাংলা/তরা/৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.