ব্যাকবোন রাউটারের কনফিগারেশনে পরিবর্তন আনায় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের সেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের একজন মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের ডেটা সার্ভারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক সমন্বয় করে রাউটারটি। এতে সার্ভারের ডেটা আদান–প্রদান ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেবাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।’
ফেসবুকের সেবাগুলো অনলাইনে ফিরে এসেছে এবং কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে পুরোদমে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে প্রকৌশল দল।
সেই সঙ্গে বলেছে, ‘কনফিগারেশনে পরিবর্তন আনতে গিয়ে সেবা কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হওয়ার কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।’
মান সময় ১৬ ঘটিকায় সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার পর মান সময় ২২ ঘটিকায় তা সারিয়ে তুলতে সক্ষম হন ফেসবুক কর্মীরা।
সোমবার রাত ৯টার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় এই তিন মাধ্যম ওয়েব বা স্মার্টফোন থেকে ব্যবহার করতে পারছিলেন না ব্যবহারকারীরা।
সার্ভার ডাউন হওয়ার তথ্য প্রকাশ করা ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেকটর বিবিসিকে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর ফেসবুক পরিষেবায় এটাই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। সোমবার রাত থেকে ১ কোটি ৬ লাখ ব্যবহারকারী তাদের ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে।
জনপ্রিয় এই যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বার্তা আদান–প্রদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন বিশ্বজুড়ে লাখো ব্যবহাকারী। রাত সাড়ে চারটার দিকে এই টুইট বার্তায় সার্ভার সচল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্ভার জটিলতায় এক টুইটবার্তায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ফেসবুক। টেক জায়ান্টটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক শ্রোফার বলেছেন, ফেসবুকের শতভাগ পরিষেবা পেতে আরো কিছু সময় লাগতে পারে।
ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার আবারও সচল হয়েছে। আমরা এই অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা জানি, প্রিয়জনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার জন্য আপনারা এই পরিষেবাগুলোর ওপর কতটা নির্ভরশীল।’
২০১৯ সালে সার্ভার জটিলতার কারণে ফেসবুক এবং এর অন্যান্য অ্যাপস বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৪ ঘন্টারও বেশি সময় ব্যবহার করা যায়নি।