চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস, নগরীর আট ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল চট্টগ্রামের ১০২ জনের নমুনায় করলে নতুন ১৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।
এর মধ্যে শহরের ১২ ও উপজেলার ৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৩, রাউজানে ২ এবং ফটিকছড়ি ও সাতকানিয়ায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৯ হাজার ১৫ জন। এর মধ্যে শহরের ৯৪ হাজার ৫১ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৯৬৪ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৫ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
আরও পড়ুন…আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবলে চ্যাম্পিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সরকারি পরীক্ষাগারগুলোর মধ্যে বিআইটিআইডি ল্যাবে ৭টি নমুনায় শহরের ২টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৮ জনের নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের ২ জন করে সংক্রমিত শনাক্ত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৪ নমুনায় শহরের ৩টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি এপিক হেলথ কেয়ারে ১০ জনের নমুনায় শহরের ৪ ও গ্রামের একজনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া যায়। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১১টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজন আক্রান্ত শনাক্ত হন। এছাড়া, শেভরনে ১২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৪ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৩৮ নমুনার সবগুলোর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৪ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এভারকেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন…রাজধানীতে মাদকসহ গ্রেফতার ২৬
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, চমেকহা’য় ২২ দশমিক ২২, আরটিআরএলে ৭৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫০, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ এবং এন্টিজেন টেস্টে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ইবাংলা/জেএন/০৩ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.