ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা করেছেন ছাত্রলীগের দুই নেতা। এই দুই মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের আটক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ঢাবি ও ঢামেকে মারামারির ঘটনায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৫ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে দুটি পৃথক মামলা করেন। এ দুই মামলা নম্বর ১৪ ও ১৫ (৭ অক্টোবর)।
আরও পড়ুন…ফের ভাঙনের সুর জাতীয় পার্টি!
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই দুই মামলার আসামিদের মধ্যে একজনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ২৪ জনকে শনিবার সকালে রাজধানীর সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএমপির রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, শাহবাগ থানায় দুটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এই দুই মামলার আসামিরা হলেন, মামুনুর রশীদ মামুন, তসলিম হোসাইন অভি, এইচ এম রুবেল, পারভেজ মাহমুদ, আকরাম হুসাইন, আসিফ মাহমুদ, জাহিদ আহসান ও সাদ্দাম হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. সানাউল্লাহ, আখতার হোসেন, আবু মো. কাওসার, আসাদ বিন রনি, জিহাদ পাটোয়ারি, মো. রাকিব, ইউসুফ হোসাইন ও মো. রাকিব, তারেকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মুজাহিদ মিজান, আরিফুর রহমান আরিফ, মো. ওয়ালিউল্লাহ এবং বিল্লাল হোসেন।
আরও পড়ুন…মহাবিপন্ন উল্লুক উদ্ধার, আটক ২
জানা গেছে, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা শুরুর পরপরই ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এরপর আহতরা চিকিৎসার জন্য ঢামেকে গেলে সেখানেও দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেনসহ অন্তত ২২ জনকে আটক করে পুলিশ।
ইবাংলা/জেএন/০৮ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.