‘বিএনপির আমলে আমার গ্রামের বাড়িতেই বিদ্যুৎ ছিল না। যে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল, সেখানেও সব সময় থাকতো না। বিদ্যুৎ মাঝে মধ্যে আসতো। তারা যখন বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে, তখন নিজেদের শুধু হাসি পায় না, আমার মনে হয় হনুমানও হাসে তাদের এই কথায়।’
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন…খাদ্য উৎপাদন করবো, যুদ্ধ এত তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, লোডশেডিং নিয়ে বিএনপি কথা বলে? যারা বিদ্যুৎ না দিয়ে খাম্বা দিয়েছিল। তাদের সময় সারাদেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল, আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। আমার বাড়িতেই বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার আরও প্রায় এক বছর পর আমার গ্রামের বাড়িতে বিদ্যুৎ এসেছে।
লোডশেডিং অনেক বেড়ে গেছে। এটা নিয়ে বিরোধী পক্ষ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণও কথা বলছে। এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আরও বলেন, এটার ব্যাখ্যা বিদ্যুৎ বিভাগ ও প্রতিমন্ত্রী দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হওয়ার কারণে সারাদেশে ব্ল্যাকআউট হয়েছিল কয়েক ঘণ্টার জন্য।
তিনি বলেন, দ্রুত সেটি আবার ঠিক করা হয়েছে। এ রকম ব্ল্যাকআউট কিন্তু আমেরিকায়ও হয়। নিউইয়র্ক শহরে মাঝে মধ্যে বেশ কয়েকবার সেখানে ব্ল্যাকআউট হয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। অনেক উন্নত দেশেও এ রকম হয়েছে।
‘বিএনপির সময় ২৪ ঘণ্টা ব্ল্যাকআউট ছিল। কয়েক দফায় ২৪ ঘণ্টা, ১২ ঘণ্টা এ রকম ব্ল্যাকআউট ছিল। সেদিন যেটা হয়েছে সেটা স্বল্প সময়ের মধ্যে ঠিক করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ যে ব্যাখ্যাটি দিয়েছে, সতর্কতার সঙ্গে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে আবার পুনরায় চালু করা হচ্ছে এবং সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহও করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন…রাত ৮টার পর দোকানপাট, খোলা রাখার বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে ডিএসসিসি
তিনি বলেন, এজন্য লোডশেডিংটা একমাস আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এই সংকট কেটে যাবে খুব সহসা, যেটা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী পরিষ্কার করেছেন।
ইবাংলা/জেএন/১২ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.