দুর্গাপুর রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার নামোদুর খালি গ্রামে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বাবা- ছেলে। ১০ বছর আগে এ রোগে প্রথমে আক্রান্ত হোন বাবা নুর ইসলাম (৪৫)। এর ঠিক ৭ বছর পরে একই রোগে আক্রান্ত হয় তারই ছেলে জাকারিয়া (১৬)।
আক্রান্ত নুর ইসলাম বলেন, আমার প্রথমে কোন শারীরিক সমস্যা ছিলনা। ঠিক ভাবে সব ধরনের কাজ করতে পারতাম। কিন্তু হঠাৎ করে দশ বছর আগ থেকে এ রোগে আক্রান্ত হবার পর আমার শরীরে আস্তে আস্তে শক্তি হারাতে থাকে। আমার পা অকেজো হয়ে যায়।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে চরম দূর্ভোগে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রহকরা!
পা দিয়ে হাটতে পারিনা। বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে কোন লাভ হয়নি। সর্বশেষ ভারতের ভেলোরে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিন্তু সেখানেও ডাক্তাররা কোন ভালো চিকিৎসা দিতে পারেননি। অনেক ঔষধ খেয়েও কোন কাজ না হওয়ায় বর্তমানে ঔষধ খাওয়া ও ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আর গত তিন বছর আগে আক্রান্ত হয় আমার ছেলে জাকারিয়া।
আক্রান্ত জাকারিয়া বলেন, তিন বছর আগ থেকে আমি এ রোগে ভুগছি। এবার এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছি। কথা বলার সময় কথা বেধে যায়। শরীর কাপে কোন শক্তি পায়না। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করিয়েও কোন ফল পাচ্ছিনা।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ রোগে আক্রান্ত নুর ইসলাম। চিকিৎসার জন্য দেশে বিদেশে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন তার পরেও ভালো হয়নি। চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক জমিজমা ও টাকা পয়সা শেষ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন…জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্বে সুপরিচিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
এ বিষয়ে নুর ইসলামের মা বলেন, জন্মের পর থেকে সুস্থ্য ছিল আমার ছেলে। কোন অসুখ-বিসুখ ছিলনা। বিয়ের পর ঠিক ভাবে সংসার করছিল। তার বাবারও এধরনের কোন রোগ ছিলনা।কিন্তু দশ বছর আগে আমার ছেলের এ রোগ হয়। এর সাত বছর পর আমার নাতি জাকারিয়ারও একই অসুখ হয়। এখন শুধু আল্লাহ্ পারে আমাদের বাঁচাতে।
ইবাংলা/জেএন/২২ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.