মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারকে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে কিনে নেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক। তবে মাস্কের টুইটার কেনার পর থেকেই অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। সংস্থার ৫০ শতাংশ কর্মীকেই ছাঁটাই করেছেন, তবুও আর্থিক সঙ্কট মেটার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না টুইটারে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার টুইটারের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন মাস্ক। সংস্থার বৈঠকেই এই সম্ভাবনার কথা বলেন মাস্ক।
আরও পড়ুন…রাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন স্থগিত হলো
দিনের শুরুতে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলে কর্মীদের সতর্ক করে মাস্ক বলেন, যদি বিজ্ঞাপন থেকে কমে যাওয়া আয় সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব না হয়, তাহলে টুইটার ‘আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দায় টিকে থাকতে পারবে না’। মাস্কের পাঠানো ই-মেইলটি দেখেছেন এমন তিনজন ব্যক্তি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মাস্ক টুইটার কেনার পর অনেক বিজ্ঞাপন সংস্থা জনপ্রিয় এ সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়। রয়টার্সকে আরেকটি সূত্র বলেছে, বৃহস্পতিবার টুইটার থেকে পদত্যাগ করেন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউল রোথ। তিনি টুইটারের বর্ণবৈষম্য, ভুয়া তথ্য এবং স্প্যামের বিষয়গুলো দেখতেন।
ইউল রোথ বৃহস্পতিবার তার টুইটার অ্যাকাউন্টে নিজেকে ‘টুইটারের সাবেক ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি প্রধান’ হিসেবে বর্ণনা করেন। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এবং প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সাইট প্লাটফর্মার প্রথম তার পদত্যাগের তথ্য প্রকাশ করে। যদিও পদত্যাগ করার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
রয়টার্স বলছে, টুইটারের প্রধান প্রাইভেসি অফিসার ড্যামিয়েন কিরান এবং প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার মারিন ফোগাটিও পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া শোনা গিয়েছিল প্রধান বিজ্ঞাপন বিক্রয় নির্বাহী রবিন হুইলারও পদত্যাগ করেছেন। তবে পরবর্তীতে রবিন নিজে টুইট করে জানান, ‘আমি এখনো আছি।’
এদিকে, একটি সূত্র জানিয়েছে কর্মীদের মাস্ক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আগামী বছর টুইটার কয়েক বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। কর্মীদের কাছে পাঠানো ই-মেইলে স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী মাস্ক জানিয়ে দেন, টুইটারে কাউকে আর ঘরে বসে কাজ করতে দেওয়া হবে না এবং প্রতি সপ্তাহে অফিসে সবাইকে কমপক্ষে ৪০ ঘণ্টা সময় দিতে হবে।
আরও পড়ুন…যুবলীগের মহাসমাবেশ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
একসঙ্গে তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করায় বিষয়টি তদন্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন। তারা বলেছে, টুইটারে কি ঘটছে সেটি খুঁজে বের করা হবে। ফেডারেল ট্রেড কমিশন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, কেউ আইনের উর্ধ্বে নন।
ইবাংলা/জেএন/১১নভেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.