প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি বলেছেেন, ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত করার নতুন যাত্রা শুরু হয়।
বর্তমান সরকারের অব্যাহত প্রয়াসের ফলে জঙ্গীবাদের বিষবাষ্প মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। সাম্প্রদায়িকতা মানুষকে উগ্র, ধর্মান্ধ ও হিংস্র করে তুলে, একটি গণতান্ত্রিক ও উদার সহনশীল সমাজ সৃষ্টির অন্তরায় সাম্প্রদায়িকতা। তাই সাম্প্রদায়িক শক্তি যাতে মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে দিকে নজর দিতে হবে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আশীক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ‘জঙ্গীবাদ নির্মূল ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি শাহ সূফী সাইয়েদ আলম নূরী আল সুরেশ্বরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু এমপি বলেন, তরাবারি, জবরদস্তি বা ফরমান জারির মাধ্যমে ইসলামের পতাকা উড্ডীন হয়নি।
শত শত বছর ধরে মানুষের কাছে ইসলামের শাশ্বত বাণী, ঐশী জ্যেতির প্রতি অবিচল আস্থা জ্ঞাপন, আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের অকাট্য যুক্তি ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর উৎসর্গের কথা মানুষের কাছে সুন্দর, সাবলীল ও প্রাঞ্জলভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে মানুষে হৃদয় জয় করার মাধ্যমেই উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশে ইসলামের প্রসার হয়েছে। এবং নবী রাসুলদের পরে অলি আউলিয়া গন ইসলাম ধর্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
অন্যানোর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন আশেক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মাওলানা হানিফ নূরী, শাহ পারবেজ নূরী, শাহ দিদার নূরী, মোঃ আতিকুর রহমান রুবেল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ দিপু নূরী সুরেশ্বরী।
ইবাংলা/টিএইচকে
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.