হেডফোনের ব্যবহার কিংবা উচ্চস্বরের মিউজিক ভেন্যুতে কনসার্টে উপস্থিত থাকার কারণে সারা বিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি তরুণ-তরুণী শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন…হজযাত্রীদের হয়রানি করলে শাস্তির ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
গবেষণায় জনস্বাস্থ্য রক্ষায় শ্রবণের প্রচলিত অভ্যাসগুলো নিয়ে তরুণদের আরও সতর্ক হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোবাইল ফোন এবং শ্রবণযন্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে শ্রবণশক্তি রক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ মেডিকেল হেলথ জার্নাল বা বিএমজে গ্লোবাল হেলথ জার্নাল চারটি দেশের ৩৩টি জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। জরিপগুলোতে ১২ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ১৯ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, ২৪ শতাংশ তরুণ-তরুণী স্মার্টফোনের মতো ডিভাইসের সাথে হেডফোন ব্যবহার করার সময় অনিরাপদভাবে গান শোনার অভ্যাস করেছে।
৪৮ শতাংশ কনসার্ট বা নাইটক্লাবের মতো বিনোদন স্থানগুলোতে অনিরাপদ শব্দের মাত্রার সংস্পর্শে গিয়েছেন। এই ফলাফলগুলোকে একত্রিত করে, গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে যে ছয় লাখ ৭০ হাজার থেকে ১৩৫ কোটি যুবক শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকিতে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন…ট্রাকের হেলপারসহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
গবেষণাটির প্রধান শ্রবণ বিশেষজ্ঞ ড. লরেন ডিলার্ড বলেন, ‘মানুষ যদি শ্রবণশক্তি হারাতে না চায়, তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে হেডফোনে ভলিউম কমিয়ে গান শোনা। তবে দীর্ঘ সময় ধরে গান শুনলেও শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।’
ইবাংলা/জেএন/১৭ নভেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.