বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে আঘাতের অভিযোগ রয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে রামনার ব্যবসায়ী শেখ সেলিম হোসেন। ব্যবসায়ী শেখ সেলিম হোসেন জানান।
শুক্রবার বিকেলে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে রামনা লঞ্চঘাটের দিকে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার আমাকে ঢেকে স্থানীয় রিপনের মাছের গদিতে নিয়ে অতর্কিত ভাবে আমাকে পিস্তল দিয়েয়ে পেটের নাভিসহ শরীলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকেন।
আরও পড়ুন…চাটখিলে শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ল ৩ দোকান
এসময় সেখানে উৎপরতে থাকা রিপন সিকদার (৪০),রিয়াজ সিকদার (৪৭), চুন্নু সিকদার ( ৪২), রাজু (৪০), ফরিদ (৩৫), মাইন উদ্দিন (৩৭), জয়নাল (৩০)সহ ১০/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে ফেলার উদ্দ্যেশে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাথারি নির্যাতন করতে থাকেন। এসময় আমার আত্মচিৎকারে আমার শ্বশুর শাহ আলম জোমাদ্দার মাষ্টার, ভাই আরাফাত গেলে তাদেরও মারধর করে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন।
শেখ সেলিম আরো জানান, আমার নাভি থেকে অজরে রক্ত যরছেন। চেয়ারম্যানকে চাঁদা না দেওয়ায় আমার আজ এ অবস্থা করছেন তিনি।প্রত্যক্ষদর্শী আরাফাত জানান,চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার শুক্রবার বিকেলে আমার বাবা,আমি ও আমার ভগ্নিপতি সেলিমকে বেধরক মারধর করেছেন। আমরা এর বিচার চাই।
স্থানীয় ফরিদা জানান,আমার জামাই শেখ সেলিম হোসেন চেয়ারম্যান নজরুলের নির্যাতনে আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন,এমপি,এসপি ও ওসির কাছে আমি এসবের সুষ্ঠ বিচার চাই। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার এসব অভিযোগের অস্বীকার করেছেন।এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বশির আলম বলেন,আমি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইবাংলা/জেএন/১৯ নভেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.