সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত যশোরের আলোচিত সন্ত্রাস আসাদুজ্জামান আসাদ ওরফে বুনো আসাদ মারা গেছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুনো আসাদের ছেলে আনিচুর রহমান। বুনো আসাদ যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী রোডে।
আরও পড়ুন…৩ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে ইংল্যান্ড
পিতা হত্যা বিচার চেয়ে ছেলে আনিচুর রহমান বলেন, বেজপাড়া বুনোপাড়ার রিপন হোসেন, বেজপাড়া মেইন রোড এলাকার মৃত মোহর আলীর ছেলে আবুল খায়ের, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাইফুল উদ্দিন রিজু, নাসির শিকদার এছাড়াও বিহারী কোলোনীর কানু, কামরুল ইসলামের ছেলে হাসিব রেজা নামে স্থানীয় প্রভাব শালীদের মদদে আমার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন মাঠ পাড়ার সুমন, সাদেক দারোগার মোড় এলাকার চঞ্চল, খবরি হাসান ও টিটন। এদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানান তিনি।
বুনো আসাদের ছোট ভাই সাইদুর রহমান জানান, গত ৮ অক্টোবর রাতে বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হন আসাদ। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অপারেশন করার সময় মারা যান বুনো আসাদ।
এদিকে গত ৯ অক্টোবর তার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছোট ভাই সাইদুর রহমান চারজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। আসামিরা হলেন বেজপাড়া কবরস্থানের পিছনের মাঠপাড়ার সুমনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কাসেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান, বেজপাড়া বনানী রোডের আক্কাসের ছেলে চঞ্চল, একই এলাকার খোকনের ছেলে আকাশ ও রায়পাড়ার বিপ্লব
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ আল মামুন জানান, প্রথমে পুলিশ চঞ্চলকে আটক করে। এরপর অন্য আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। পরে খাবড়ি হাসান অস্ত্র ও গুলিসহ আটক হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, এর আগে যে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছিল সেটিই এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
ইবাংলা/জেএন/২১ নভেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.