কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে নিয়ে কনমেবলের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান শেষ হতেই সবাই ছুটলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গোলরক্ষক নেরি পুম্পিদোর দিকে। গোলের খেলা ফুটবল। কেউ গোল করে তারকা, কেউ গোল ঠেকিয়ে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে দিয়োগা ম্যারাডোনা গোল করে আর গোলরক্ষক নেরি পুম্পিদো গোলপোস্ট পাহারা দিয়ে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন।
সে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সব ম্যাচই খেলেছিলেন এই গোলরক্ষক। সাত ম্যাচের মধ্যে মাত্র পাঁচ বার আর্জেন্টিনার জালে বল ঢুকতে পেরেছে। তিন ম্যাচে আর্জেন্টিনার জালে বল ঢুকতে দেননি নেরি।
ছয় ফুটের বেশি দীর্ঘদেহী এই আর্জেন্টাইন ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গেই স্প্যানিশ ভাষায় কথা বললেন। বাংলাদেশি সাংবাদিক পরিচয় দিতেই, ‘নো ইংলিশ অনলি স্প্যানিশ’ বলে হাসলেন। এই প্রতিবেদকের আগ্রহ দেখে স্প্যানিশ জানা এক সাংবাদিককে প্রশ্ন অনুবাদ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন…বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও স্মৃতিসৌধে আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতির শ্রদ্ধা
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার অনেক সমর্থক এবং ম্যারাডোনার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। বাংলাদেশ সম্পর্কে তার মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি বেশ খুশি হয়ে বলেন, ‘শুধু ম্যারাডোনা নয় পুরো আর্জেন্টিনার জন্য এটা খুব গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের মানুষদের প্রতি আমার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’
বাংলাদেশের সমর্থনের প্রতি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কয়েক সেকেন্ড একই জায়গায় ছিলেন নেরি। স্প্যানিশ ও ইংরেজি জানা পেরুর সাংবাদিকও সাথে ছিলেন। এই সুযোগে আরো দু’টি প্রশ্ন জুড়ে দেয়ার চেষ্টা এই প্রতিবেদকের। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গোলরক্ষকের দৃষ্টিতে এবারের গোলরক্ষকদের মান কেমন, এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা গেল, ‘এই টুর্নামেন্টে সেরা পারফরমারদের মধ্যে অবশ্যই কয়েকজন গোলরক্ষক রয়েছে। কিপিংয়ের মান অত্যন্ত উন্নত।’
বর্তমান থেকে আবার মুহুর্তের মধ্যেই ফিরে যাওয়া হয়েছে ম্যারাডোনা স্মৃতিতে। ম্যারাডোনাকে সামলানো যে কোনো গোলরক্ষকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ম্যারাডোনাকে অনুশীলনে সামলানোর স্মৃতি স্মরণ করলেন এভাবে, ‘দিয়োগার মুখোমুখি হওয়া অবশ্যই কঠিন কাজের একটি। অনুশীলনের মুহূর্তগুলো সত্যি উপভোগ্য ছিল।’
লাতিন সাংবাদিকদের ভিড়ে আর বিশেষ করে প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল না। লাতিন সাংবাদিকরা বিশ্বকাপ, আর্জেন্টিনা দল সহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করলেন। এর সবই স্প্যানিশে। এক ইংরেজ সাংবাদিক ৮৬’র ম্যারাডোনার সঙ্গে মেসির এই দলের তুলনা করতে চাইলেন। স্প্যানিশ দোভাষী সাংবাদিকের মাধ্যমে এর উত্তর মিলল এই রকম, ‘৩৬ বছরের দুই দলের মধ্যে তুলনা করা যায় না। খেলোয়াড়, প্রেক্ষাপট, প্রতিপক্ষ, আইন সব কিছুতেই ভিন্নতা।’
ইবাংলা/জেএন/১১ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.